অবশেষে গ্রেটার ম্যানচেষ্টারে টিয়ার থ্রি আরোপ : ওয়েলসে জাতীয় লকডাউন শুরু

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : বৃটেনে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। করোনার সংক্রমন ঠেকাতে ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপিত হচ্ছে।
বৃটেনে গত চব্বিশ ঘন্টায় আরো ২০ হাজার ৫শ ৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বৃটেনে। আর গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনায় মৃত বরণ করেছে আরো ২শ ২৪ জনের।
এদিকে করোনার সংক্রমন ঠেকাতে শুক্রবার থেকে গ্রেটার ম্যানচেষ্টারে করোনার সর্বোচ্চ বিধি-নিষেধ টিয়ার থ্রি আরোপিত হয়েছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সুবিধার বিষয়টি নিয়ে গ্রেটার ম্যানচেষ্টারের মেয়র এন্ডি বার্নহ্যামের সঙ্গে দর কষাকষিতে সুবিধা করতে না পেরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই টিয়ার থ্রি আরোপ হয়েছে গ্রেটার ম্যানচেষ্টারে। এরফলে বিশেষ খাবার সরবরাহ ব্যতিত উত্তর ইংলান্ডের গ্রেটার ম্যানচেস্টার এলাকার সব পাব এবং বার বন্ধ থাকবে আগামী ২৮ দিন। ঘরের ভেতরে ভিন্ন পরিবারের সামাজিকতা বন্ধ থাকবে। তবে বাইরে পার্ক, পাবলিক গার্ডেন এবং স্পোর্টস ব্যানুতে রুল অব সিক্স কার্যকর থাকবে। শুক্রবার মধ্য রাত থেকে সাউথ ইয়র্কশায়ার কাউন্টিতেও আরোপিত হয়েছে টিয়ার থ্রি।

এদিকে করোনার সংক্রমন কমিয়ে হাসপাতালের ভর্তির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওয়েলসে জাতীয়ভাবে ১৭ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে। লকডাউন চলাকালে সীমিত কিছু বিশেষ কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। বিশেষ করে খাদ্য, ঔষধ কেনা, বেয়াম ও কেয়ার প্রোভাইড করা এবং বাড়ী থেকে যাদের কাজ করার সুবিধা নেই তারা কাজে যাওয়ার জন্যে বের হতে পারবে। লকডাউন চলাকালে খাদ্যদ্রব্য, নিউজ এজেন্ডট, ব্যাংক, ফার্মেসিসহ বিশেষ প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যান্য ব্যবসা বন্ধ থাকবে। এরফলে ১৭ দিনে ওয়েলস অর্থনীতির প্রায় ৫শ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে এই ১৭ দিন লকডাউনের পরের পরিস্থিতি কি হবে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা দাবী করেছে ওয়েলসের বিরোধী দল। যদিও ওয়েলসের ফার্স্ট মিনিষ্টার মার্ক ড্রেইকফোর্ড বলেছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে রেখে এনএইচএস এবং জীবন রক্ষার জন্যে এর বিকল্প উপায় ছিল না।

এদিকে স্কটল্যান্ডে পাঁচ স্তরের করোনা বিধি-নিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ফার্স্ট মিনিষ্টার নিকোলা স্টোরজান। শূণ্য থেকে চার স্তরের করোনা বিধি নিষেধ কার্যকর হবে আগামী ২ নভেম্বর থেকে। টিয়ার জিরো আরোপিত এলাকায় তিন বাড়ির সর্বোচ্চ ৮ জন ঘরের ভেতরে মিলিত হতে পারবেন। টিয়ার ওয়ানে ২ বাড়ির সর্বোচ্চ ৬ সদস্য ঘরে বা বাইরে মিলিত হতে পারবেন। টিয়ার টুতে ঘরের ভেতরে সামাজিকতা বন্ধ এবং শুধুমাত্র খাবারের সময় এলকোহল পান করতে পারবে। টিয়ার থ্রিতে বিশেষ খাবার সরবরাহের প্রয়োজনে রেষ্টুরেন্ট খোলা থাকলেও পাব পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। আর টিয়ার ফোরে নন-এসেনশিয়েল বা পরিহার্য নয়, এমন সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। স্থানীয়দের সীমিত আকারে ভ্রমনের সুযোগ থাকলেও পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকবে টিয়ার ফোর এলাকায়।

Advertisement