ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: কারা কারা অভিজাত গাড়ি ক্রয় করেছে সে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলা, দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ বুধবার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিসহ সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এছাড়া কারা কারা অভিজাত গাড়ি ক্রয় করেছে, সে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিএসি) এর ৬(৩) এবং ৪৬ (১৩) ধারা অনুসরণে দুর্নীতি দমন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অ্যাটর্নি জেনারেল এর কার্যালয়কে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
সংসদ নেতা বলেন, সরকার জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল অনুযায়ী বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। সরকারের ভিশন ২০২১ এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অগ্রাধিকার পেয়েছে।
জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নুর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক, দুর্নীতিসহ সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী জোরালো অভিযান পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে ক্যাসিনো দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থ সম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮, অস্ত্র আইন-১৮৭৮ ও বিশেষ আইন ১৯৭৪ সহ অন্যান্য আইনে মামলা করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ক্যাসিনো দুর্নীতির সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যাতে কেউ করতে না পরে সে জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের পাশাপাশি কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিও অব্যাহত রয়েছে।