টুইটারে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এআইএমআই এই নেতা বলেন, স্বজনপোষণ করে গিয়ে ‘প্রতিবেশী’, ‘বন্ধুত্ব’ শব্দগুলোকেই সম্ভবত অভিধান থেকে মুছতে বসেছেন অমিত শাহ। দেশরক্ষার নামে চাণক্যের ভেদনীতি অবলম্বন করছেন বিজেপি সভাপতি। এই নীতি পালন করতে গিয়ে কখন কার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবেন আর কখন কার সঙ্গে বন্ধুত্ব ভাঙবেন সেটা একটি নোটবইয়ে লিখে রাখা উচিত তার। না হলে একসময় তিনিই পুরো বিষয়টি গুলিয়ে ফেলবেন।
এছাড়া গত শনিবারই এআইএমআইএমের সভাপতি ওয়াইসি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন বলে জানান।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতে নয়া আইনের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করবেন তিনি। ভারতের বহু ভাষা, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সাংবিধানিক গণতন্ত্র বজায় রাখতে লড়াই জারি রাখবে তার দল।’
প্রসঙ্গত, সোমবার সংসদে নাগরিক বিল পাস হওয়ার সময় থেকেই এর বিরোধিতা করে এসেছেন আসাদুদ্দিন। তিনি বলেছেন, শাসকদলের একমাত্র লক্ষ্য ‘মুসলিমহীন ভারত’ গড়া। এভাবেই দেশকে আরও একবার ভাগ করতে চলেছে বিজেপি। এরপরেই মহাত্মা গান্ধির অনুসরণে নাগরিক বিল ছিঁড়ে ফেলেন সংসদ কক্ষে। ঠিক যেভাবে ভেদনীতি রুখতে দক্ষিণ আফ্রিকার বৈষম্যমূলক নাগরিকত্বের কার্ড ছিঁড়ে ফেলেছিলেন জাতির জনক।