হতাশা পেছনে ফেলে ওসাসুনার বিপক্ষে নজরকাড়া পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে বার্সেলোনা। দারুণ এই জয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠল জাভি হার্নান্দেজের দল।রোববার রাতে কাম্প নউয়ের ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতে বার্সেলোনা। জোড়া গোল করেছেন ফেররান তরেস, একটি করে পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং ও রিকি পুস।পুরো ম্যাচে আলো ছড়ান উসমান দেম্বেলে। ফরাসি ফরোয়ার্ডের নামের পাশে অ্যাসিস্ট দুটি। ম্যাচের ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে বার্সা, গোলমুখে করে ২৪টি শট। যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। আর ওসাসুনার চার শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল।আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রথমার্ধে ১৩ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নেয় বার্সেলোনা। গোলের সূচনা চতুর্দশ মিনিটে। ডি-বক্সে গাভিকে ওসাসুনার ডিফেন্ডার নাচো ভিদাল ফেলে দিলে পেনাল্টিটি দিয়েছিলেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি ফেরান তোরেস।
এর ছয় মিনিট পরের দ্বিতীয় গোল করেন ফেরান। ওসমান দেম্বেলে বক্সের ভেতরে বাড়ান দারুণ এক থ্রু বল। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়ান ফেরান।ম্যাচের ২৭তম মিনিটে তৃতীয় গোলটিও পেয়ে যায় বার্সেলোনা। এবারও অবদান রাখেন দেম্বেলে। ডান দিক থেকে ফরাসি ফরোয়ার্ডের দারুণ পাসে ছুটে গিয়ে কাছ থেকে বল জালে পাঠান অবামেয়াং।জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া অবামেয়াংয়ের লা লিগায় ছয় ম্যাচে গোল হলো পাঁচটি। দলটির কোনো খেলোয়াড়ের দ্বিতীয় দ্রুততম পাঁচ গোলের কীর্তি এটি। ২০০৪ সালে সামুয়েল এতো ও ২০০৯ সালে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ পাঁচ ম্যাচে করেছিলেন পাঁচ গোল।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলও খেতে বসেছিল বার্সা, কিন্তু দারুণ সেভ করেন গোলরক্ষক টের স্টেগান।দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ পান অবামেয়াং। দেম্বেলের ক্রসে ডি-বক্সে প্রথম স্পর্শে ভলি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি গ্যাবনের এই ফরোয়ার্ড।৭৫তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন বদলি নামা রিকি পুস। দেম্বেলের পাসে বক্সের বাইরে থেকে পুসের প্রথম শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। তার ও দুই ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।ফের গোল উৎসবে ফিরল বার্সেলোনা। দারুণ এই জয়ে বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগের ম্যাচে গ্যালাতাসেরর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাবে জাভির শিষ্যরা।২৭ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৯ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫১। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। ২৮ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে সেভিয়া।আর ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।