ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। তাকে দেশে ফেরার বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এছাড়া দেশে আসার পর তার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা উল্লেখ করেন। ফেসবুক পোস্টে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘নিউইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার পরিবার ‘ট্রাভেল পারমিট’ এর জন্য আবেদন করলে আমাদের মিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি এবং তার স্ত্রীর যেহেতু পাসপোর্ট নেই, সেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে অন্য দেশ থেকে নিজের দেশে ফেরার এটাই একমাত্র ব্যবস্থা।’
নিউইয়র্কের কনস্যুলেটে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেন, ‘আমি আমাদের নিউইয়র্কের কনসুলেটে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি।’
ফেসবুকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও লিখেন, ‘সাদেক হোসেন খোকা এবং তার স্ত্রীর নামে মামলা আছে, গ্রেফতারি পরোয়ানাও থাকতে পারে (আমি নিশ্চিত নই)। কিন্তু মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে যা জেনেছি, তাদের আসার পর বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের ১৪ মে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক যান। তারপর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি খোকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। খোকা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
আইসিইউতে নেয়ার আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে তিনি দেশে আসার আকুতি জানিয়েছেন। বলেছেন, জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এই মাটিতে শেষ বিদায় হয় কিনা আল্লাহ জানেন।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সহায়তা কামনা করে বলেছেন, আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, খোকার দেশে ফেরার বিষয়ে সরকার যেন উদ্যোগী হয়।
এ বিষয়ে শাহরিয়ার আলম আজ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘নিউইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার পরিবার ‘ট্রাভেল পারমিট’র জন্য আবেদন করলে আমাদের মিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি এবং তার স্ত্রীর যেহেতু পাসপোর্ট নেই সেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে অন্য দেশ থেকে নিজের দেশে ফেরার এটাই একমাত্র ব্যবস্থা। আমি আমাদের নিউইয়র্কের কনস্যুলেটে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। তিনি এবং তার স্ত্রীর নামে মামলা আছে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাও থাকতে পারে (আমি নিশ্চিত নই) কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলে যা জেনেছি, তাদের আগমনের পর বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে।’