আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানের দেয়া ব্যাখ্যায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।এবিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমরা উনার বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে অত্যন্ত সন্তুষ্ট’।আজমত উল্লাহ খান আজ নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের পর সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। উনি অত্যন্ত চমৎকারভাবে, অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে দু:খ প্রকাশ করেছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আগামীতে এ ধরনের ভুল হবে না। তবে কিছু কিছু ভুল অজ্ঞতাবশত হয়েছে। উনি বলেছেন যে, দু’একটা সভা হয়েছে। উনারা ডিসি এবং কমিশনারের অনুমতি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের বাইরে করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউনটাকে আমরা বড় করে দেখেছিলাম। এ বিষয়ে উনি বলেছেন যে, সেদিন মনোনয়নপত্র সাবমিট করার ব্যাপার ছিল। বেশ কিছু সংখ্যক কাউন্সিলর সঙ্গে দলবল নিয়ে এসেছেন। এজন্য এটা বড় ধরনের শোডাউনের মতো মনে হয়েছে। আমরা উনার বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। উনি সুন্দরভাবে আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট করার এবং নির্বাচন আচরণ বিধি যাতে ভবিষ্যতে প্রতিপালিত হয়, অনুসৃত হয় সেটা সর্বতোভাবে উনি চেষ্টা করবেন। আমরা শোকজ করেছি, উনি উনার বক্তব্যটা দিয়েছেন।আগামীতে আচরণবিধি প্রতিপালনে নির্বাচনি সংস্কৃতি গড়ে ওঠার আশা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, ‘আমাদের যে নির্বাচনি সংস্কৃতি, কৃষ্টি বহু বছর ধরে গড়ে উঠেছে। সেখানে সমর্থকরা এ ধরনের উচ্ছ্বাস (মনোনয়নপত্র জমার সময় দলবল নিয়ে উপস্থিতি) প্রকাশ করে থাকে। ইসিও মনে করে, এটাকে এক ধাক্কায় সুইচ টিপে বন্ধ করে দেয়া যাবে না। কিন্তু সে জন্য সহযোগিতা লাগবে। এনফোর্স করার চেষ্টা করবো, ধীরে ধীরে শুভ কালচার গড়ে উঠবে।এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার সময় শোডাউন করাসহ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে আজমত উল্লাহ খানকে কমিশনে তলব করা হয় এবং কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে সশরীরে রোববার উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটিতে ভোগ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।