ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: পাক অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরের ওপর দিয়ে অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) কাজ এগিয়ে নিচ্ছে চীন। এছাড়া জাতিসংঘে কাশ্মীর বিষয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের বিষয়ে জোর দেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপরই বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে ভারত। দেশটি বলছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অভ্যণরীণ বিষয়। অন্য কোনো দেশের নাক গলানো মানবে না ভারত।
শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ সভায় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছিলেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মেনেই কাশ্মীর সমস্যার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত। একতরফা পদক্ষেপ, যাতে স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে, এমন কিছু করা ঠিক নয়।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বিবৃতির পর রোববার ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে, এতে পাক-অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরে সিপিইসিকে সম্পূর্ণ ‘বেআইনি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাক-অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরকেও নিজেদের অংশ বলে দাবি ভারতের। কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতর্কিত ওই অংশে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে জাতিসংঘের। অথচ চীন সেখানেই কয়েকশ’ কোটি ডলারের রাস্তা তৈরি করতে চেয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে দিল্লি।
জাতিসংঘে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তানের প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদেই কাশ্মীর সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান এবং বিবদমান দু’শের মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ক দেখতে চায় চীন। এরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, আমরা আশা করব, ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে সব দেশই সম্মান জানাবে। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ অবিচ্ছেদ্য ভারতের অংশ। তাই এখানকার ঘটনাবলীও একেবারেই আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।