আমিরাতের আকাশছোঁয়া ভবনগুলোতে হামলা চালাবে হুতিরা

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: আকাশছোঁয়া ভবনে ঠাসা দুবাই ও আবুধাবিসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।

হুতি সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার ইয়াহইয়াহ সারি বলেন, আমরা ঘোষণা করছি- আবুধাবি ও দুবাইসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমাদের কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তু রয়েছে। যেকোনো সময় এসব স্থাপনায় হামলা হতে পারে।-খবর এএফপির

যুদ্ধে বিপর্যস্ত ইয়েমেনে গত পাঁচ বছর ধরে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। সংযুক্ত আরব আমিরাতও এ জোটের অংশ।

বিদ্রোহীদের মুখপাত্র বলেন, যদি আপনারা আপনাদের স্থাপনা ও গ্লাসে নির্মিত টাওয়ারের নিরাপত্তা ও শান্তি চান, তবে এখনই ইয়েমেন ত্যাগ করুন। কারণ এসব টাওয়ার একটি ড্রোনের আঘাতও প্রতিরোধ করতে পারবে না।

অতীতেও আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে হুমকি এবং হামলার দাবি করে আসছে হুতি বিদ্রোহীরা। যদিও তা আমিরাতের কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেনি।

চলতি সপ্তাহে এই মিলিশিয়ারা বলেছেন, সৌদি তেল স্থাপনায় তারা বিপর্যয়কর হামলা চালিয়েছে। এতে দেশটির তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। যদিও ওয়াশিংটন ও রিয়াদ হুতিদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইরানের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে।

সৌদি আরবে কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। রিয়াদের ব্যাপক সামরিক ব্যয় সত্ত্বেও এই ড্রোন হামলা সৌদির অনিরাপত্তাকেই সামনে নিয়ে আসছে।

সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তুরকি আল-মালকি বুধবার বলেন, গত সপ্তাহে অস্ত্রের নির্ভুল হামলা ও তার ব্যাপ্তি হুতিদের সক্ষমতার বাইরে। ইরান হুতিদের সামনে নিয়ে আসতে চাইলেও এ হামলা ইয়েমেন থেকে ঘটেনি। এ হামলার উৎপত্তি উত্তর দিক থেকে হয়েছে। দক্ষিণের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে হামলার যে দাবি করা হয়েছে, তা সত্যি নয়।

হুতি মুখপাত্র সারি বলেন, দুটি স্থাপনায় হামলা হলে তা আগুনে গ্রাস করে ফেলে। তিনটি স্থাপনা থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। দীর্ঘপাল্লার সক্ষমতা সম্পন্ন অতিআধুনিক ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমিরাত সরকারকে আমরা বলতে চাই, কেবল একটি অভিযানে আপনাদের মারাত্মক খেসারত গুনতে হবে। আসছে দিনগুলো কিংবা সপ্তাহে আপনাদের নেতারা যদি কোনো হামলার নির্দেশনা দেন, তবে সে জন্য আপনাদের অনুশোচনা করতে হবে।

Advertisement