আহাদ চৌধুরী বাবু :সিলেটের মজুমদারীতে বাংলাদেশী বংশদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ম্যাজিস্ট্রেট।১৫ দিন কোয়ারেন্টিন সময় পার হওয়ারপরও স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কয়েস লোদীর উপস্থিতিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই জরিমানা করেন বলে অভিযোগ।
ব্রিটিশ বাংলাদেশীর অনুমুতি না নিয়ে ভিডিও ধারণ করেসামাজিক যোগা যোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সংবাদও গনমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের প্রেক্ষাপটে ব্রিট বাংলা প্রতিবেদক ১ এপ্রিল সিলেট সিটিকর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর বক্তব্য এবং বাসার মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শফিকুর রহমানের সাথে ঘটনার ব্বিরণ জানতে চাইলে টেলিফোনে তারা নিজ নিজ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন l
এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলার রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন একজন চার বারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং আমার পরিবারের নিরান্নবই ভাগ সদস্য যেখানে প্রবাসী সেখানে আমার নিজস্ব দায়বদ্ধতা ও আন্তরিকতা সব সময় আছে।
প্রকৃত অর্থে উৎসুক মানুষজন ভিডিও ধারণ করেছে এবং সেটি ভাইরাল হয়েছে । তিনি বলেন যে কোন দেশের তার নাগরিকের নিরাপত্তা সহ সার্বিক বিষয়ে আইন থাকে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ঐদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে ফোন দিয়ে আমার অবস্থান জানতে চান আমি জানাই আমি আমার ওয়ার্ডে অবস্থান করছি এবং জীবানু নাশক কর্মসূচীতে আছি তখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান আমি এলাকার ও বাড়ীর মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসেছি আপনার ওয়ার্ডে ।এবং তার অনুরোধও আমার ওয়ার্ড বিধায় আমি ঘঠনা স্থলে যাই ।
এবং ভ্ৰাম্ৰমান আদালত দেখতে পাই এবং ম্যাজিস্টেট জানান অভিযুক্ত প্রবাসী যে বাড়ীতে বা হলিডে হোমে উঠেছেন সেই বাড়ীর মালিকও এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ তিনি সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম ১8 দিন পালন না করে অবাধে এলাকায় ঘুরছেন এবং অভিযুক্তের স্বিকারউক্তির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশের বিদ্যমান ধারায় তাকে আদালত পনের হাজার টাকা জরিমানা করে ও তিনি নিজে স্বাক্ষর করেন তাহার ভাইয়ের উপস্থিতিতে ।
আমি শুধু মাত্র একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলার হিসেবে আমার এলাকা বাসীর সার্বিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে উপস্থিত হই । কিন্তু বর্তমান করোনা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার ব্যস্থ সময়ে বিভিন্ন সংবাদ পত্রও গনমাধ্যমে আমার উপস্থিতি নিয়ে নীতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে এ বিষয়ে আমার কোন ধরনের বক্তব্য গ্রহন না করে অতিরঞ্জিত করে সংবাদ প্রকাশ কতোটুকু দায়িত্ব শীল সাংবাদিকতা আমার বোধগম্য নয় ।
একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলার হিসেবে উপস্থিতিটা স্বাভাবিক এবং এটি একটি চলমান ধারা ।
অন্যদিকে প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার চলমান বিচার প্রক্রিয়ার প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি করা একজন সচেতন নাগরিক এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে কোন এখতিয়ার আছে কিনা আমার জানা নেই ।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং অভিযোগ দাতা মোঃ সফিক মিয়া বাড়ীর মালিক তাহার ৭৩ মজুমদারী বাড়ীর প্রবাসীর আচার আচরন ও উগ্রচলা ফেরার কথা তিনি নিজে অবহিত করেন এবং এলাকাবাসীর ক্ষোভ রয়েছে এবং আতঙ্কিত জানান ।
এক্ষেত্রে কাউন্সিলার লোদী বলেন প্রবাসী হলেও যে কোন রাষ্ট্রের আইন মানা সম্মান প্রদর্শন করা কর্তব্য এবং তাকে মৌখিক ভাবে বাড়ীর মালিক অবহিত করেছেন অথচ সম্মানীত প্রবাসী ভাই ১৪ দিন ঘরে অবস্থান করার সরকারের নির্দেশনা মানেননি তিনি নিজে বলেছেন ।
অথচ সংবাদ পত্রে বলা হচ্ছে তিনি ১৫দিন ঘরে ছিলেন কাউন্সিলার লোদী বলেন আমার অবস্থান থেকে মনে করি আমার উপস্থিতি ছিলো একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে ম্যাজিস্টেইট তার বিচার বিবেচনা বোধ থেকে রায় দিয়েছেন এ ক্ষেত্রে আমার কোন ভুমিকা থাকার কথা নয় ৷
এবং আমি মনেকরি প্রকৃত সত্য প্রকাশ সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ।
লোদী কয়েস বলেন প্রবাসীরা আমাদের হৃদপীণ্ড যিনি নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন তার প্রতি সিদ্ধান্তের প্রতি ক্ষোভ বা সংক্ষুব্ধ হতে পারেন কিন্তু সে টি বিবেচনায় না এনে আমাকে দোষী হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে আসলে আমার কিছু বলার নেই৷
বাড়ীর মালিক শফিকুর রহমান জিয়া তার প্রতিক্রিয়ার বলেন আসলে লন্ডন প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমান সাজ্জাদুর রহমান ও তাদের মা ফাতেমা বেগম আমার ফার্নিস হলিডে হোমে তিন মাসের জন্য বাড়া নিয়েছেন ।
কিন্তু সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির কারনে সরকারের নাগরিকদের জন্য বিদ্যমান নতুন আইনটি সর্ম্পকে আমি আমার বাড়াটিকে অবহিত করি এবং তাকে নিয়ম মেনে চলার জন্য বলি ।
কারন আমাদের এলাকাটি ঘনবসতি এবং এলাকার মানুষজন আমাকে উনার উগ্র চলা ফেরার কথা অবহিত করে আমি বিয়টি প্রবাসী ভাইকে অবহিত করি।কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি ।
আমি নিজে ও এলাকাবাসীর অনেকে কাউন্সিলার ও সিলেট সিটির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করে যার ধারাবাহিকতায় মোবাইল কোর্ট তাকে জরিমানা করেছে এক্ষেত্রে কাউন্সিলার বা আমার দায় কোথায়।
সিদ্দিকুর রহমানের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। যদিও ইতিমধ্যে তিনি জানিয়েছেন বিমান বন্দর থেকে তাকে কিছু বলা হয়নি এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশী যুবক বার বার বলছিলেন তিনি ১৪ দিন পার করে ঐ ঘটনার দিন ১৫ দিন চলছিল।