সিলেট অফিস :: আরিফকে ধরতে মাঠে নেমেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) সদস্যরা। বিভিন্ন স্থানে চলছে অভিযান। শিগগিরই তাকে ধরা যাবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্ত দিয়ে মোবাইল ফোন চোরাচালানের সাথে জড়িত এই আরিফ। তার পুরো নাম সৈয়দ আরিফ আহমদ। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সৈয়দপুরে। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিলেট নগরীর শামীমাবাদের খান সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় বসবাস করছিলেন।
জানা গেছে, সিলেট শহরতলির তেমুখী বাইপাস এলাকায় একটি অ্যাক্সিও প্রাইভেটকার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। পরে ১৬ নভেম্বর রাতে জালালাবাদ থানা পুলিশ ওই কার থানায় নিয়ে যায়। এ কারের সূত্র ধরে মোবাইল ফোন চোরাচালান চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। তাদের কাছ থেকে ২৭৯টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, দুটি প্রাইভেটাকার ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেট নগরীর পশ্চিম শাহী ঈদগাহের অন্তরঙ্গ-৬৮ এর মোশারফ হোসেন খান (৩৮), দক্ষিণ সুরমার কায়স্তরাইলের জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৪), কাজীটুলার মক্তবগলির ফারুক মিয়া (৩৬) ও কোতোয়ালী থানার মাদরাসা রোডের মাহমদ আলীর বাসার জহিরুল ইসলাম সোহাগ (৩৯)। তন্মধ্যে জাহাঙ্গীর হোসেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, এ চারজনকে আদালতের মাধ্যমে তিনদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সৈয়দ আরিফ আহমদের নাম বেরিয়ে আসে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে মাঠে কাজ করছে। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
তিনি জানান, অভিযুক্ত এএসআই জাহাঙ্গীর হোসেনকে চাকুরিবিধি অনুসারে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ চোরাচালান চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে সৈয়দ আরিফ ও তার সহযোগী শেখঘাটের মৃদুল নামে এক ব্যক্তির নাম আছে।