আর্থিক সেটেলম্যান্ট ঘোষণা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস

চলমান  ব্রেক্সিট জটিলতাকে  কেন্দ্র করে কনজারভেটিব পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বন্দের কারনে কাউন্সিলগুলোর জন্য সরকারের গুরুত্বপূর্ন আর্থিক সেটেলম্যান্ট ঘোষণা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস।

গত ৬ ডিসেম্ব, বৃহস্পতিবার কমিউনিটি সেক্রেটারী জেমস ব্রোকেনশায়ার কতৃক এই আর্থিক সেটেলম্যান্ট ঘোষনার তারিখ নির্ধারিত ছিলো। মূলত প্রত্যেক বছর এই সময়ে কমিউনিটি সেক্রেটারী কাউন্সিলগুলোকে জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় সরকার থেকে তারা কী পরিমান বরাদ্দ পাবে। এর ভিত্তিতে প্রত্যেক কাউন্সিল তার বাজেট প্রনয়ন করে। ব্রেক্সিট ডিলকে কেন্দ্র করে কনজারভেটিব পার্টির কোন্দলের কারনে এই ঘোষনা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যাওয়ায় কাউন্সিলগুলো তাদের বাজেট নিয়ে বর্তমানে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

এব্যাপারে মেয়র জন বিগস তার প্রতিাক্রয়ায় বলেন, এমনিতেই সরকারের বিশাল বাজেট কাটের কারনে আমরা প্রচন্ড চাপের মধ্যে রয়েছি, এর মধ্যে বরাদ্দ ঘোষণা পিছিয়ে যাওয়ায় আমরা আরেকদফা চাপের মধ্যে পড়লাম। এছাড়া এর দ্বারা আরেকবার প্রমাণিত হলো ব্রেক্সিটের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া কেবল কথার কথা নয়, এর সিরিয়াস প্রতিক্রিয়া বাস্তব এবং এটি একটি বিশাল বিষয়। মেয়র আরো বলেন, ব্রেক্সিটের কারনে সরকারের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলায় আমি উদ্বিগ্ন এবং আরো উদ্বিগ্ন কাউন্সিলের জন্য অতিব জরুরী বাজেট বরাদ্দ ঘোষনা পিছিয়ে যাওয়ায়।

লেবার দলের শ্যাডো কমিউনিটি সেক্রেটারী এন্ড্রু গোয়েন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, স্থানীয় সরকারের বাজেট সেটেলম্যান্টের বিলম্ব প্রমান করেছে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেম্বর সরকার ভেঙ্গে পড়েছে। ব্রেক্সিট আলোচনাকে কেন্দ্র করে তারা তাদের নিজেদের সৃষ্ট ফাঁদে আটকা পড়েছে এবং একারনে তারা দেশের গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সিদ্বান্ত নিতে না পারার কারনে প্রমাণিত হলো তিনি অফিসে থাকলেও ক্ষমতায় নেই।

এদিকে লোকাল গর্ভনমেন্ট এসোসিয়েশনের (এলজিএ) একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিভিন্ন জরুরী সার্ভিসের বাজেট দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্চেছ তাই স্থানীয় সরকারের ফান্ডিং সেটেলম্যান্ট একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। তার মতে কাউন্সিলগুলো ইতিমধ্যে প্রতি ১ পাউন্ডে ৬০ পেন্স হারিয়েছে। এলজিএম্বর তথ্য অনুযায়ী ২০১৯/২০ সালের মধ্যে স্থানীয় সরকারের ফান্ডিং গ্যাপ হবে প্রায় ৩.২ বিলিয়ন পাউন্ড।

Advertisement