ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: মিয়ানমারের রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার এ আলোচনায় অগ্রগতি খুবই সামান্য। ওদিকে আজ বুধবার বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা ফাঁকা গুলি করেছে। ছুঁড়েছে কাঁদানে গ্যাস। এ ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বড় দুটি শহরে। ওদিকে অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে কমপক্ষে ২১ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে আরো বলা হয়, মঙ্গলবার আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সংকট নিরসনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে বৈঠক করেন।
বৈঠক থেকে উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সামরিক জান্তার কব্জা থেকে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নেত্রী অং সান সুচিকে মুক্তি দিতে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এমন প্রস্তাবে একমতে আসতে পারেননি আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এ অবস্থায় আজ বুধবারও মিয়ানমারে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এতে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সুচি সরকারকে উৎখাতের প্রতিবাদে প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। অভ্যুত্থানের নিন্দা জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল থেকে। মান্দালয়ে এক বিক্ষোভে জনতার ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে। সেখানে একজন স্কুল শিক্ষিকাকে দেখা গেছে চিৎকার করে বলছেন, আমার চোখ জ্বলছে। ব্যথা করছে। চিন রাজ্যে একজন বিক্ষোভকারী সালাই লিয়ান বলেছেন, প্রায় পুরো শহরেই বিক্ষোভ হচ্ছে। আমরা এটা বোঝাতে চাইছি যে, আমরা কেউই দেশে কোনো স্বৈরাচার চাই না। গ্রেপ্তারের ওপর নজর রাখছে এমন একটি গ্রুপ বলেছে, মঙ্গলবারও বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওদিকে আসিয়ানের মাত্র চারটি দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং সিঙ্গাপুর অং সান সুচি ও অন্য বন্দিদের মুক্তির দাবিতে একত্রিত হয়েছে মঙ্গলবারের বৈঠকে। আসিয়ানের বর্তমান চেয়ার ব্রুনাই। মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উয়ান্না মুয়াং লুইং এ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, তিনি বৈঠকে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মিয়ানমারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। তবে মিয়ানমারের কোনো সমস্যার কথা তিনি উল্লেখ করেননি। নভেম্বরের নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছিল বলে বৈঠকের আলোচনা নিয়ে প্রশংসা করেছেন তিনি।