১৭ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে একটি অনানুষ্ঠানিক এবং শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতিম্যাচ খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। দুর্বল ওমানের বিপক্ষে দাপট দেখালেও লঙ্কান ও আইরিশদের কাছে একরকম পাত্তাই পায়নি টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে লড়াই করলেও অল-গ্রিনদের কাছে রীতিমত উড়ে গেছে বাংলাদেশ।আগের দিন শ্রীলঙ্কার কাছে ৪ উইকেটে হারার পর বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয় লিটন দাসের দল। আবুধাবিতে এদিন সকালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৭৭ রান জড়ো করে আয়ারল্যান্ড। দলটির সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন গ্যারেথ ডিলানি, ৫০ বলের মোকাবেলায় ৩টি চার ও ৮টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া ২৩ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন হ্যারি টেক্টর।অন্যদের মধ্যে ওপেনার পল স্টার্লিং ১৬ বলে ২২, অ্যান্ড্রু বালবির্নি ২২ বলে ২৫ ও জর্জ ডকরেল ৯ বলে ৯ রান করে আউট হন।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ দুটি ও নাসুম আহমেদ একটি উইকেট শিকার করেন। তাসকিন, সৌম্য ও শেখ মেহেদী হাসান নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও এদিন বেশ খরুচে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। ওভারপ্রতি দশেরও ওপরে রান দিয়েছেন এই ত্রয়ী। যাতে ওই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারে অল-গ্রিনরা।আর আইরিশদের গড়া ওই বড় স্কোরের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার নাঈম শেখ (৪ বলে ৩ রান) ও লিটন দাসকে (৩ বলে ১ রান) হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিমও (৪ বলে ৪ রান)। ক্রিজে থেকে এমন চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসাইন ধ্রুব।তবে ভালো শুরুর পরও অল্পতেই বিদায় নিতে হয় আফিফকে। তার আগে একটি চারের মাধ্যমে ১৬ বলে ১৭ রান করেন তিনি। আফিফের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। তবে দুর্ভাগ্য এই বাঁহাতির। রান আউটে কাটা পড়ে ক্রিজ ছাড়তে হয় ৩০ বলে দুটি ছয় ও একটি চারে ৩৭ রান করা সৌম্যকে।
যাতে ১৩ ওভারেই ৯০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এসময় তরুণ শামিম পাটোয়ারি আউট হন মাত্র ১ রান করেই। তবে নুরুল হাসান সোহান ও তাসকিন আহমেদের ব্যাটিং কল্যাণে দেড়শ রানের কাছাকাছি গিয়ে থামে টাইগারদের স্কোর। ২০ ওভার খেলে অলআউট হয় ১৪৪ রানেই। ফলে ৩৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আইরিশরা।২৪ বলে ৬টি চারের মারে সর্বোচ্চ ৩৮ আসে হার্ড হিটার এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। আর ১১ বল মোকাবেলা করা তাসকিন অপরাজিত থাকেন একটি চারের সাহায্যে ১৪ রান নিয়ে।আইরিশদের পক্ষে ক্রেইগ ইয়ং ও জস লিটল ২টি করে উইকেট পেলেও বাংলাদেশ দলের আসল ক্ষতিটা করেন মার্ক আডায়ের। ৩৩ রান দিলেও ৩টি উইকেট তুলে নেন এই মিডিয়াম পেসার।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, শেখ মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন (১২তম সদস্য)।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: অ্যান্ড্রু বালবির্নি (অধিনায়ক), ক্রেইগ ইয়ং, কার্টিন ক্যামফার, গ্যারেথ ডিলানি, জর্জ ডকরেল, হ্যারি টেক্টর, জশুয়া লিটল, মার্ক অ্যাডায়ার, নেইল রক, পল স্টার্লিং, সিমি সিং।