ইংল্যান্ডের এক্সিটারে ধর্ষণের পর মহিলাকে সাত টুকরো করল ঘাতক

এক্সিটারে ৩২ বছর বয়সী, লোরেইন কক্স নামে একজন মহিলাকে ধর্ষণের পর সাত টুকরো করেছে ২৪ বছর বয়সী আজাম মাঙ্গুরি নামে এক ব্যর্থ এসাইলাম আবেদনকারী। বৃহস্পতিবার, এক্সিটার ক্রাউন কোর্টে মাঙ্গুরীকে দোষি সাব্যস্ত করা হয়। আদালত জানিয়েছে, গত বছরের পহেলা সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত লোরেইনকে এক্সিটারের স্ট্রীটে দেখা যায়। খুন হওয়ার প্রায় চার মাস আগে এক্সিটারেই আরেক দফায় যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছিলেন লোরেইন কক্স।


আদালত আরো জানিয়েছে, বন্ধুর সঙ্গে নাইট-্আউট শেষে একা একা হাঁটছিলেন লোরেইন। এ সময় অপরিচিত এক ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করতে থাকে। ২৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তির নাম আজাম মাঙ্গুরি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, এক্সিটার সিটি সেন্টারের সামনে বেশ কয়েক মিনিট ধরেই লোরেইন কক্সকে অনুসরনের পর রাস্তা পার হয়ে লোরেইনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে ঘাতক মাঙ্গুরি। জুরি বোর্ডের শুনানিতে আরো বলা হয়, লোরেইনকে নিয়ে মাঙ্গুরি পাশের একটি ফার্ষ্টফুড শপের উপরে তার ফ্ল্যাটে উঠে। এখানে ধর্ষণ শেষে লোরেইনকে হত্যা করে মাঙ্গুরি। সাত টুকরো করে লোরেইনকে। এরপরের কয়েকদিন দোকান থেকে বিভিন্ন জিনিষপত্র কিনে লোরেইনের সাত টুকরো মরদেহ লোকানোর চেস্টা করে মাঙ্গুরি। লোরেইনের সীমকার্ড নিজের মোবাইলে ভরে তার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের কাছে টেক্সট পাঠিয়ে বুঝানোর চেস্টা করে লোরেইন জীবিত। লোরেইনের মরদেহ প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে বিনে ফেলার চেস্টা করে মাঙ্গুরি। এমনকি ব্যাগে ভরা লোরেইনের শরীরের টুকরো টুকরো অংশ একটি ট্যাক্সি ক্যাবে নিয়ে অন্য জায়গায় ফেলারও চেস্টা করে মাঙ্গুরি।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটিশ সমাজে নারীদের উপর সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধে চলা ক্যাম্পেইনে এক্সেটারের লোরেইন হত্যার বিষয়টিও আলোচনায় আসে।

লোরেইন কক্স হত্যার ঘটনাটি হৃদয় বিদারক হওয়ার আরো একটি কারণ রয়েছে। এই এক্সিটারেই রবার্ট নামের এক ব্যক্তি লোরেইনকে ধষর্ণ করেছিল। এর চার মাস পরেই মাঙ্গুরির হাতে খুন হন লোরেইন কক্স। গত ৮ সেপ্টেম্বর লোরেইনকে হত্যার দায়ে মাঙ্গুরিকে তার ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। এক্সিটার ক্রাউন কোর্টে চার সপ্তাহের শুনানি শেষে ব্যর্থ এসাইলাম আবেদনকারী আজাম মাঙ্গুরিকে দোষি সাব্যস্ত করে জুরি বোর্ড। আগামী ৭ এপ্রিল মাঙ্গুরির সাজার মেয়াদ ঘোষণা করা হবে। উল্লেখ্য আজাম মাঙ্গুরি ইরাকি নাগরিক। ২০১৬ সালে জার্মানের ডানর্কিক থেকে লরিতে করে অবৈধভাবে ইংল্যান্ডে প্রবেশ করেন তিনি। বয়স কম হওয়ায় জার্মানের পর ইংল্যান্ডেও তার এসাইলাম আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়।

Advertisement