মো: রেজাউল করিম মৃধা ॥ করোনাভাইরাস মহামারিতে লক ডাউনে দীর্ঘদিন পর খুলতে যাচ্ছে ইউনিভার্সিটিগুলি। এখন ব্রিটেনের জন্য এক চরম দু:স্বময় । প্রতিদিন বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। এবার শুধু বয়সের নয় ইয়াংরাই বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। ভয় উৎকন্ঠা এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করতে আসছেন ইউনিভার্সিটির ছাত্র/ছাত্রীরা।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের প্রফেসর ড্যাম এ্যানী জনসন বলেন, “ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য এক মহা বিপদের সময় অতিবাহিত হচ্ছে। এসময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।কমিউনিকেশনের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস বেশী আক্রান্ত হয়। ক্লাসে এলেও কমিউনিকেশন কমাতে হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক দূরুত্ব অবশ্যই মানতে হবে। সাথে সরকারি বিধি নিষেধ ও নীতিমালা তো রয়েছে। তা সবাইকে সম্মানের সাথে পালন করতে হবে,”।
এখন প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে। গত শনিবার ১৮১৩ নতুন করোনারোগী আক্রান্ত হয়েছে এর মধ্যে বেশীর ভাগ রোগীর বয়স ২০ থেকে ২৯ বছর। তবে পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড (পিএইচই) গবেষনায় দেখা গেছে বর্তমানে ১৫ থেকে ৪৪ বৎসর বয়সী মানুষরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটির ছাত্র/ছাত্রীরা রয়েছে ঝুঁকিতে।
এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড: মাইক টি লডিসলে বলেন, “এখানে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য বা উদ্দ্যোশ্য হাসিল নয়, সমঝতার মাধ্যমেই ছাত্র/ ছাত্রীদের ক্লাসে আসতে হবে। ঝুঁকি আছে তবে সতর্ক থাকতে হবে। সবার সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই সাথে কয়েক মাস পর খৃস্টমাসের ছুটি হবে। তখন তো ইউনিভার্সিটি গুলি বন্ধ হবে। যে করেই হোক ক্লাস করার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থাদের আহ্বান জানান,”।
ভল্টনেল এখন সবচেয়ে বেশী করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে বেশীর ভাগই ইয়াং। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৪৯ বছর। ভল্টনেল ১০০০ লোকের মধ্যে আক্রান্ত ৯৯ জন। এ শহর এখন ব্রিটেনের সব চেয়ে ঝুঁকি পূর্ণ এলাকা।
ব্রিটেনের এডুকেশন সেক্রেটারি গ্যাভিন আলেকজান্ডার উলিয়ামসন বলেন,”শিক্ষা গুরুত্ব সবার আগে । যে কোন কিছুর বিনিময়ে হলেও শিক্ষা প্রতিস্ঠান খুলতে হবে।অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে যাওয়ার চেয়ে না যাওয়ার কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” বৃটিশ সরকার ছাত্র/ছাত্রীদের ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে।
নতুন নতুন করোনা রোগীর আক্রান্তের খবরে দু:শ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত ছাত্র/ছাত্রীদের অভিভাবকরা।