ইংল্যান্ডে টিয়ার ফাইভ আরোপ : বুধবার পার্লামেন্টে এমপিদের ভোটে আইনে পরিণত হবে

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : নতুন রূপে করোনা সংক্রম ঠেকাতে ইংল্যান্ডে আরেক দফা কঠোর করোনা বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোমবার রাত ৮টায় টেলিভিশনে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে ইংল্যান্ডে টিয়ার ফাইভ করোনা বিধি নিষেধ আরোপের ঘোষণা দেন তিনি। মঙ্গলবার প্রথম প্রহর থেকে তা কার্যকর হবে। নতুন ঘোষণায়, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ি থেকে বের না হবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মধ্য ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সব স্কুল এবং কলেজ রিমোট ক্লাশ নেওয়ার ঘোষণা দেন বরিস জনসন। বুধবার পার্লামেন্টে এমপিদের অনুমোদন নিয়ে নতুন বিধি নিষেধ আইনে পরিণত করা হবে।
টিয়ার ফাইভের অধিনে, মার্চের প্রথম লকডাউনের মতো বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় মেডিকেলের প্রয়োজনে, খাদ্যদ্রব্য কেনা, ব্যায়াম এবং যাদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা নেই তারাই একমাত্র ঘর থেকে বের হতে পারবে। ফেব্রুয়ারীর হাফটার্ম ছুটি পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সব স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে। শুধু নার্সারি খোলা থাকবে। সামারে কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে পারবে না, অনলাইনে ক্লাশ নিতে হবে। রেষ্টুরেন্টে ফুড ডেলিভারী অব্যাহত থাকবে তবে মদ টেইকওয়ে বন্ধ থাকবে। আউট ডোর স্পোর্টস ভ্যানু বিশেষ করে গল্ফ, টেনিস, আউটসাইড জিম বন্ধ থাকবে।
ফেব্রুয়ারীতে স্কুল বন্ধ থাকা পর্যন্ত ফ্রি স্কুল মিল বহাল থাকবে বলেও ভাষণে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সোমবার গত চব্বিশ ঘন্টায় বৃটেনে নতুন করে আরো ৫৮ হাজার ৭শ ৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়। মৃত্যু হয় আরো ৪০৭ জনের।
এর আগে স্কটল্যান্ডে জাতীয় লকডাউনের ঘোষণা দেন স্কটিশ ফার্স্ট মিনিষ্টার নিকোলা স্টোরজান। আর ওয়েলসে ১৮ জানুয়ারী পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০ ডিসেম্বর থেকে ওয়েলসে লকডাউন চলছে। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে গত ২৬শে ডিসেম্বর থেকে জাতীয় লকডাউন চলছে।

Advertisement