ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ব্রেক্সিটের পর ইউকের এগ্রিকালচার ফার্মগুলোতে সম্ভাব্য ওয়ার্কার সংকট মোকাবেলার লক্ষ্যে টেম্পোরারী সিজনাল ওয়ার্কার ক্যাটাগরিতে একটি পাইলট স্কীমের অধিনে নন-ইইউ থেকে আড়াই হাজার ওয়ার্কার নিয়োগের করার জন্যে দুটি অপারেটর কোম্পানীকে লাইন্সে দিয়েছে সরকার। কোম্পানী দুটির তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। তারপরেও টেম্পোরারী সিজনাল ওয়ার্কার ভিসায় বিলেতে আসার আশায় বিভিন্ন জন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নাম তালিকাভুক্ত করাচ্ছেন। এমন কি এ নিয়ে বাংলাদেশেও এক ধরনের বাণিজ্য শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইউকেতে বর্তমানে সির্জনাল ওয়ার্কারের বেশির ভাগই আসেন ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশ থেকে। তবে ব্রেক্সিটের পরে এই সেক্টরে সম্ভাব্য ওয়ার্কার সংকট মোকাবেলার লক্ষ্যে একটি পাইলট স্কীমের অধিনে নন-ইইউর বিভিন্ন দেশ থেকে টেম্পোরারী সিজনাল ওয়ার্কার ক্যাটাগরিতে টিয়ার ফাইভ ভিসার মাধ্যমে ওয়ার্কার আনতে চাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। পাইলট স্কীমের অধিনে ২০১৯ এবং ২০২০ সালের ২ হাজার ৫শ ওয়ার্কার আনা হবে। এ জন্যে গত ডিসেম্বরে প্রো-ফোর্স লিমিটেড এবং কনকোর্ডিয়া নামে দুটি রিক্রুটমেন্ট কোম্পানীকে লাইসেন্স দিয়েছে হোম অফিস। একেকটি কোম্পানী ১২শ ৫০ জন ওয়ার্কার রিক্রুট করবে। প্রশ্ন হচ্ছে এই স্কীমের অধিনে কি বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্কার আসার সুযোগ পাবেন? এই প্রশ্নের উত্তর শুনুন ব্যারিষ্টার তারেক চৌধুরী কি বলেন।
প্রো-ফোর্স লিমিটেড তাদের ওয়েবসাইটে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে তারা সরাসরি ইউক্রেইন এবং মালদোবা থেকে ওয়ার্কার রিক্রুট করবে। কোনো তৃতীয় পার্টির সঙ্গে তারা কাজ করে না। রিক্রুটের জন্যে তৃতীয় পক্ষ নগদ অর্থ চাইলে প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে ইমেইলে সরসারি যোগাযোগের আহ্বান জানিয়েছে কোম্পানীটি। অন্যদিকে কনকোর্ডিয়াও তাদের ওয়েব সাইটে ইউক্রেইন মালডোবা এবং রাশিয়া থেকে ওয়ার্কার আনার কথা বলেছে। দুই কোম্পানীর তালিকায় বাংলাদেশে বা সাউথ এশিয়ার অন্য কোনো দেশের নাম নেই। তারপরেও মোবাইল ট্র্যাক্সটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে এই ভিসার জন্যে আবেদন করতে নাম রেজিস্টারের আহ্বান জানানো হচ্ছে ইউকের বাঙালী কমিউনিটিতে। শুধু নাম রেজিস্টারের জন্যেই চার থেকে পাঁচশ পাউন্ড চার্জ করা হচ্ছে অভিযোগ রয়েছে। আর বাংলাদেশেও বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এর দাম ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা উঠেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়টিতেও পরামর্শ দিয়েছেন ব্যারিষ্টার আবুল কালাম চৌধুরী।
উল্লেখ্য ইউকেতে বছরে প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন পাউন্ডের ফলমুল এবং শাকশব্জি ফলানো হয়। এ জন্যে বছরে অন্তত ৭০ থেকে আশি হাজার সিজনাল ওয়ার্কারের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল ফার্মার্স ইউনিয়ন। টেম্পোরারী সিজনাল ওয়ার্কার ক্যাটাগরিতে পাইলট স্কীমের অধিনে আসা ওয়ার্কারদের ইংল্যান্ড, ওয়েলস, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডে কাজ করবেন।