ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া। যদিও কিয়েভের অঙ্গীকার দেশ রক্ষার।এদিকে ক্রেমলিন বন্দর নগরী মারিওপুল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে। ইউক্রেন বলছে, মারিওপুলে তাদের বিপর্যস্ত বাহিনী স্টিলকারখানার ভেতর এখনও আটকে আছে। মেজর জেনারেল রুস্তম মিনেকায়েভ বলেন, বিশেষ অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়ে রুশ বাহিনীর অন্যতম কাজ দনবাস এবং দক্ষিণ ইউক্রেনে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। এতে ক্রিমিয়ার সাথে স্থল পথে সংযোগ করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়।মিনেকায়েভের এ মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনে রুশ হামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের লক্ষ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া গেল।এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি তার নিয়মিত সান্ধ্য বক্তব্যে বলেছেন, এটি শুধুমাত্র তাই- যা আমি একাধিকবার বলেছি, এটি নিশ্চিত করে যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কেবলমাত্র শুরু। তিনি বলেন, আমরা যতোদূর সম্ভব নিজেদের রক্ষা করবো। কিন্তু সমস্ত জাতি যারা আমাদের মতো, মৃত্যুর উপর জীবনের জয়ে বিশ্বাস করে তাদের অবশ্যই আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে।এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে রাশিয়া গণভোটের আয়োজনের চেষ্টা করছে বলে জেলেনস্কি অভিযোগ করেন। তিনি স্থানীয়েেদর প্রতি রুশ বাহিনীর কাছে ব্যক্তিগত তথ্য না দেয়ার অনুরোধ জানান।অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মতো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কিয়েভে দূতাবাস পুনরায় খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধ আগামী বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত চলতে পারে।এদিকে রাশিয়া প্রথমবারের মতো শুক্রবার মস্কোভা ডুবিতে একজন ক্রু সদস্যের মৃত্যু এবং ২৭ জনের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছে। গত সপ্তাহে রাশিয়ার এ যুদ্ধ জাহাজ কৃষ্ণ সাগরে ডুবে যায়।ইউক্রেন ও আমেরিকার দাবি কিয়েভের ছোঁড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এটি ডুবেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা অনিশ্চিত।
ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার অঙ্গীকার রাশিয়ার
Advertisement