রাশিয়ান বাহিনীর বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত সাতজন মারা গেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের পুলিশ। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।কর্মকর্তারা বলছেন ওদেসার বাইরে পোডিলস্ক শহরের একটি সেনা ঘাঁটিতে হওয়া হামলায় ছয়জন মারা গেছেন এবং সাতজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া মারিউপল শহরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।এদিকে রুশ সেনাবাহিনীর বহর ইউক্রেনের উত্তরে চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চল দিয়ে এবং পূর্বাঞ্চলে লুহানস্ক ও খারকিভ অঞ্চল দিয়ে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করেছে বলে জানাচ্ছে ইউক্রেনের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ডিপিএসইউ।সংস্থাটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনী ‘শত্রুকে প্রতিহত করতে সব পদক্ষেপ নিচ্ছে।’এদিকে পাঁচটি রুশ বিমান ও একটি হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আতঙ্কের কিছু নেই। আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। আমরা যে কোন কিছুর জন্য প্রস্তুত। আমরা সবাইকে প্রতিহত করবো, কারণ আমরা ইউক্রেন।
এদিক মস্কোর স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন। এর কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা এবং মিসাইল হামলা শুরু হয় বলে খবর প্রকাশিত হয়। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে জরুরি সাইরেন বাজানো হয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় যে মহাসড়কগুলোতে শহর ছেড়ে যেতে চাওয়া মানুষের গাড়ির ভিড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই আতঙ্ক প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন যে তারা বোমা থেকে সুরক্ষা পেতে আশ্রয় কেন্দ্র এবং বেজমেন্টে আশ্রয় নিচ্ছেন।কিয়েভে বৃটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের সাংবাদিক লুক হার্ডিং টুইট করেছেন যে রাস্তায় অপেক্ষাকৃত কম মানুষ দেখা যাচ্ছে এবং মানুষকে ক্যাশ মেশিনগুলোতে লাইন দিতে দেখা যাচ্ছে।ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একাধিক খবর প্রকাশ করা হচ্ছে, যেখানে বলা হচ্ছে যে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের সেনারাও রাশিয়ার সেনাদের সাথে অভিযানে যোগ দিচ্ছে, অর্থাৎ ইউক্রেনের উত্তর দিক থেকেও এখন আক্রমণ হচ্ছে। বেলারুশ দীর্ঘদিন যাবত রাশিয়ার মিত্র। বিশ্লেষকরা এই ছোট দেশকে রাশিয়ার ‘ক্লায়েন্ট স্টেট’ বা মক্কেল রাষ্ট্র হিসেবে বলে থাকেন।ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেনের পূর্বে ‘তীব্র বোমা হামলা’ শুরু করেছে। দেশটির রাজধানী কিয়েভের কাছে বরিস্পিল বিমানবন্দরসহ একাধিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ বিমান হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী লড়াই করছে বলে বলা হয়েছে।