ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ইউনিভার্সেল ক্রেডিট সিস্টেম বাস্তবায়নের পর সবচাইতে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে ডিজেবল বেনিফিট গ্রহীতারা। এছাড়া গড় আয়ের চাইতে কম শ্রমজীবি এবং নি¤œ আয়ের পরিবার, যাদের অল্পস্বল্প সঞ্চয় রয়েছে তারাও তুলনামুলক বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে ইনস্টিটিউট ফর ফিসক্যাল স্ট্যাডিসের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১০ সালে কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসার পর ইউনিভার্সেল ক্রেডিটের প্রবর্তন করে। প্রাথমিক অবস্থায় পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে হাতে গুনা কয়েকটি বারায় চালু হলেও ২০২২ সাল থেকে সারা দেশে তা কার্যকর করা হবে। হাউসিং বেনিফিট, চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট এবং জব সিকার এলাউন্সসহ ছয়টি বেনিফিটকে একত্রিত করে ইউনিভার্সেল ক্রেডিট নামে পরিশোধ করবে সরকার।
ফিসকল স্ট্যাডির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউনিভার্সেল ক্রেডিট চালু হওয়ার পর ২ মিলিয়নের বেশি মানুষ বছরে জনপ্রতি ১ হাজার পাউন্ড করে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। রিপোর্টে আরো বলা হয়, ইউনিভার্সেল ক্রেডিটের ফলে প্রায় ১১ মিলিয়ন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ হয় লাভবান হবেন অথবা ক্ষতিরমূখ দেখবেন। ইউনিভার্সেল ক্রেডিটের ফলে ইতোমধ্যে লাভের মুখ দেখেছেন প্রায় ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ। আর বছরে প্রায় ১শ পাউন্ড ক্ষতির মুখে পড়েছেন ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষ। এছাড়া বর্তমান অবস্থার চাইতে বছরে অন্তত ১শ পাউন্ড লাভের সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষের। আর বছরে ১শ পাউন্ড লোকসান গুনতে হতে পারে অন্তত ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষকে।
এদিকে গত মার্চে প্রকাশিত দ্যা এন্যুয়েল হাউসহোল্ডস বিলো এভারেজ ইনকাম সংক্ষেপে এইচবিএআই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে ইউকেতে প্রায় ৩ দশকিম ৭ মিলিয়ন শিশু চরম দরিদ্রতার মধ্যে বসবাস করছে। ২০১৬-১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩ দশমিক ৫ মিলিয়নে।
ইউনির্ভাসেল ক্রেডিটের ফলে শিশু দারিদ্রতা আরো চরম আকার রূপ নেবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Advertisement