ইতালিতে করোনায় আরও দুই বাংলাদেশির মৃত্যু

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : ইতালিতে করোনায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের একজন দেশটির রাজধানী রোমে এবং অন্যজন মিলান শহরের হাসপাতালে চিকিতসাধীন ছিলেন। রোমে মারা যাওয়া ৭২ বছর বয়সী আনোয়ার হোসেন হিরু তরবেল্লা-মোনাকা এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় তরবেরপাতা হাসপাতালে ৮ই এপ্রিল স্থানীয় রাত ৩ টা ৫৫ মিনিটে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশে তার পৈতৃক নিবাস বরিশালে বলে জানা গেছে।
এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মিলানের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে দীর্ঘদিন ধরে চিকিতসাধীন বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা মিজান (৪২) বৃহস্পতিবার মারা গেছেন। তিনি মিলানের অদূরে বেরগামো এলাকায় থাতকেন। ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও ছিল তার। ইতালির বাংলাদেশ মিশন এবং রোম ও মিলানের বাংলাদেশ কমিউনিটি তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

লোম্বার্দিয়া-মিলান রিজিওন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল কবির জামান ও যুগ্ম সম্পাদক জামিল আহমেদ উভয়ে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- করোনার নগ্ন থাবায় ক্ষত-বিক্ষত ইতালির বাংলাদেশ কমিউনিটিতে সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা- দুটোই বাড়ছে। এর আগে মিলানের ৫ জন মারা গেলেও এই প্রথম রোমে বাংলাদেশির মৃত্যু হলো। সর্বশেষ দু’জনের মারা যাওয়ায় ইতালিতে বাংলাদেশি মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ জনে। মঙ্গলবার মিলানে করোনায় মারা যাওয়া সালাউদ্দিন ছৈয়াল বেরগামো শহরে বসবাস করতেন জানিয়ে তারা বলেন, তার লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। বাংলাদেশ কমিউনিটির দায়িত্বশীল অন্য প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন- তারা যেসব তথ্য পাচ্ছেন তাতে কেবল লম্বার্ডিয়া-মিলান রিজিওনেই শতাধিক বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। তবে প্রকাশ হচ্ছে কম। উল্লেখ্য ইতালিতে বৈধ অবৈধ মিলে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশির বাস। এর মধ্যে রাজধানী এবং তার আশপাশে ১ লাখ ২০ হাজার। আর মিলান-লোম্বার্দিয়াসহ উত্তর ইতালিতে প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশির বাস।
কমিউনিটি নেতারা জানান, আগে মারা যাওয়া নোয়াখালির গোলাম মাওলা, নারায়ণগঞ্জেরর অপু এবং কুমিল্লার মুজিবুর রহমান মজুুর দাফন স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুস সোবহান জুনায়েদের তত্ত্বাবধানে ধর্মীয় রীতি-নীতি এবং রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা মেনে মিলানেই হয়েছে। তবে মিলানে দীর্ঘ সময় বসবাসকারী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের মৃত্যু ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে সফররত অবস্থায় হওয়ায় লন্ডনেই তার জানাজা ও দাফন হয়েছে। মিলান স্টেশনের কাছে একটি মসজিদ নির্মাণে বড় মারা যাওয়া জসিম উদ্দিনে বড় ভূমিকা ছিল বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement