ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে আকস্মিক বন্যায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৯০ ছুঁই ছুঁই। আজ সোমবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে পূর্বের প্রদেশ ওয়েস্ট নুসা তেঙ্গারায় বন্যার ঘটনা ঘটে।বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, বন্যা উপদ্রুত এলাকার সর্বত্র এখন ধ্বংসস্তূপের চিহ্ন। কোথাও বাড়িঘর ভেসে গেছে, আবার কোথাও শিকড়সহ উপড়ে গেছে গাছপালা। ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের ওই সব এলাকায় অসংখ্য মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে।এদিকে ওই অঞ্চলে এখনো ঘূর্ণিঝড় চলছে। এতে উদ্ধারকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, পূর্ব তিমুরে এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ মৃত্যুই হয়েছে পূর্ব তিমুরের রাজধানী দিলিতে।
উদ্ধারকর্মীরা বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ায় খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদ্যাপনের কয়েক ঘণ্টা আগে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বীপ ফ্লোরেস আইল্যান্ডে ভারী বৃষ্টিপাতে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যায়, অনেক সেতু ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়। জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র রাদিত্য জ্যোতি বলেছেন, দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানো কঠিন হচ্ছে। গতকাল এএফপিকে তিনি আরও বলেছেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি সামনের সপ্তাহে আরও খারাপ হতে পারে।ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বন্যায় হতাহত হওয়ার ঘটনায় ‘গভীর সমবেদনা’ জানিয়েছেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘এই দুর্যোগের কারণে আমাদের ভাইবোনদের যে অপরিসীম দুঃখ ভোগ করতে হচ্ছে, সেটি আমি অনুভব করতে পারছি।বন্যায় উপদ্রুত ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের সংশ্লিষ্ট এলাকায় এখন ভুক্তভোগীরা খাবার, ওষুধ ও কম্বলের অভাবে রয়েছে। পূর্ব তিমুরে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে তাদের বাসস্থান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখনো সেখানে অনেকে নিখোঁজ। তাদের বিষয়ে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল।