ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ইরানে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নভেম্বরের শুরুতে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ কথা জানিয়েছে। গতকাল সোমবার সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
অ্যামনেস্টির ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিক্ষোভে সরকারি বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ২০৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। ‘উদ্বেগজনক’ মৃত্যুর সংখ্যাটি ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনের ভিত্তিতে’ পাওয়া গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত এর থেকে বেশি হবে।
তবে, ইরান দাবি করেছে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া তীব্র আন্দোলনে ‘ভাড়াটে বিক্ষোভকারীরা’ অংশ নিয়েছে।
এ বিক্ষোভে প্রায় দুই লাখ ইরানি অংশ নিয়েছে বলে মনে করছে বিভিন্ন্ মানবাধিকার সংস্থা। শত শত ব্যাংক ও সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
একজন ইরানি আইনপ্রণেতা বলেছেন, চলতি সপ্তাহে অন্তত ৭ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে দেশজুড়ে আটককৃতদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে দেশটি। সে সময় দেশটির অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রিভোলিউশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি)-র ডেপুটি কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী ফাদাভি এমন অঙ্গীকার করেন। বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কঠিন সাজা দিতে বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সেখানকার চলমান বিক্ষোভে নিহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা করে জানায়নি ইরান। এর আগে অ্যামনেস্টি নিহতের যে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল তাও প্রত্যাখ্যান করে তেহরান।
প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর সরকারি রেশনে দেওয়া পেট্রলের দাম ৫০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় ইরানি কর্তৃপক্ষ । লিটার প্রতি রেশনের পেট্রলের দাম ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার রিয়াল করার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য মাসিক বরাদ্দ হিসেবে তেলের পরিমাণ ৬০ লিটার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সরকারের ওই ঘোষণার পরই দেশজুড়ে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ রূপ নেয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে।