ব্রিট বাংলা ডেস্ক : গত বুধবার ইরানে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনার দায় প্রথমে অস্বীকার করে। পরে ইরান স্বীকার করে নেয় যে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ভিডিও যে ব্যক্তি ধারণ করেছেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক অভিযোগ আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার ফ্লাইট পিএস-৭৫২ তেহরান থেকে উড্ডয়নের পর পরই ভূপাতিত করা হয়। এতে ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হয়।
ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটি ভুল করে ভূপাতিত করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
ইরানের গণমাধ্যম বলছে, গত সপ্তাহে ইরানের এলিট রেভল্যুশনারি গার্ড বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে এমন একজন ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে।
এদিকে, লন্ডনভিত্তিক ইরানের একজন সাংবাদিক যিনি প্রাথমিকভাবে ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন যে, তার সূত্র নিরাপদে রয়েছে এবং ইরানী কর্তৃপক্ষ ভুল ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানান, একটি ‘বিশেষ আদালত’ তার দেশের তদন্ত পর্যবেক্ষণ করবে।
এক ভাষণে তিনি বলেন, এটি নিয়মিত এবং সাধারণ কোন ঘটনা হবে না। পুরো বিশ্ব এই আদালতের উপর নজর রাখবে।’
ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মর্মান্তিক ঘটনা’র জন্য কোন একজন ব্যক্তিকে দোষারোপ করা উচিত নয়। এর পেছনে শুধু একজন ব্যক্তি ছিলেন না যিনি ট্রিগার চেপেছেন, বরং অন্য যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাও দায়ী।
প্রসঙ্গত, ইরান প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করেছিল যে বিমানটি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে, কিন্তু পরে স্বীকার করে নেয় যে যাত্রীবাহী জেটটি তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শিকার হয়েছে। ভিডিওটি যখন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তখন বিশ্লেষকরা বলেন যে, এটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের শিকার হয়েছে।