ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আরো সামান্য উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রবিবার ভোর পাঁচটায় সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করেছে। বর্তমানে খুলনা ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বুলবুল প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে অবস্থান করছে। এটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে আরো উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে পড়লেও মহাবিপদ সংকেত এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে আজ দেশের বিভিন্ন জেলায় সারাদিন বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে। এছাড়া আওতায় উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে একই সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সংকেতে প্রযোজ্য উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ক্ষেত্রে। আর কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে বুলবুলের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মেদিনিপুর, কলকাতা এবং ওড়িশা রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় বহু গাছ উপড়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অনেক এলাকা। দুই রাজ্যে ঝড়ে অন্তত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার রাত ৯টায় ঘণ্টায় ১১৫ কিলোমিটার থেকে ১২৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাগর দ্বীপ উপকূলে আঘাত হানে এই ঘূর্ণিঝড়। এরপর প্রায় তিন ঘণ্টা ঝড়টি পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে।