:: ওয়াহিদ মুহাম্মাদ মাহবুব ::
ঘটনাটি ১৯৩০ সালের গোড়ার দিকের। আজও বিশ্ববাসির স্মৃতির পাতায় তা জ্বল–জ্বল করছে। বিশেষ করে কোভিড–১৯ এর আক্রমনের পর থেকে পূর্ব – পশ্চিমের সবাই যেন নতুন করে চিন্তা করতে শুরু করেছে বিশ্বব্যবস্থপনা নিয়ে।
দ্য গ্রেট ডিপ্রেশন হল বিশ্বব্যাপী এক অর্থনৈতিক মহামন্দা, যা মুলত শুরু হয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৩০ সালের দিকে। তবে মহামন্দা বিশ্বের অনন্যা দেশে ১৯২৯ সালে শুরু হয়ে এবং ১৯৩০ দশকের শেষভাগ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। একেই বলা হতো বিংশ শতাব্দীর দীর্ঘতম, গভীরতম, বিস্তীর্ণ এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনৈতিক মন্দা, যা “Great Depression” নামে অধিক পরিচিত।
১৯২৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেয়ার বাজারের দর পতনের মধ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্য গ্রেট ডিপ্রেশন শুরু হয়। সেই বছরের ২৯শে অক্টোবর মঙ্গলবার শেয়ারবাজার সম্পূর্ণরুপে collaps করে বিশ্বব্যাপী সংবাদে পরিণত হয়েছিল, যা আজও মার্কিন ইতিহসসে Black Tuesday নামে পরিচিত।সেই সময়ে বিশ্বব্যাপী জিডিপি হ্রাস পেয়েছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। ধনী ও দরিদ্র উভয় দেশ–ই এই মহামন্দার শিকারে পরিনত হয়েছিলো। ফলশ্রুতিতে, মানুষের ব্যক্তিগত আয়, tax revenue, মুনাফা, বাণিজ্যিক মূল্যহ্রাস এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হ্রাস পেয়েছিলো প্রায় ৫০ শতাংশের উপরে। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েছিল ২৩ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশে তা ছিল প্রায় ৩৩ শতাংশ। দাদা ভাই নাওরজির Drain Theory’র মতোই অল্প সময়ের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় পৌঁছে যায় কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চিলি, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, সুইডেন, আফ্রিকা, সিংগাপুর, চায়না, জাপান ও ইন্ডিয়ারমত দেশগুলো।
বিশ্বমন্দার ফলে আমেরিকাতে বেকারত্ব ও দারিদ্রতা বেড়ে যায়, মানুষ গৃহহীন হয়ে পরে, একদিকে যেমন দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায় অন্যদিকে উৎপাদনকারী দ্রব্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়, ব্যবসা–বাণিজ্য, ব্যাংক–বীমা, শেয়ার মার্কেট ধ্বসে পরে, দ্রব্য সামগ্রীর দর পতনের ফলে কৃষক, ব্যবসায়ী ও বাসা–বাড়ীর মালিকরা পড়ে যায় চরম ক্ষতিতে, মানুষের চোখে–মুখে দেখা দেয় হতাশা আর অনিশ্চয়তা।
অর্থনৈতিক মন্দা, দারিদ্রতা ও অভাবের সাথে সাথে সামাজিক জীবনেও পড়ে কষ্টকর–নেতিবাচক প্রভাব, যেমন– মানুষকে দেখা যায় সামান্য রুটির জন্য দীর্ঘ লাইন ধরতে, refugee’র সংখ্যা বেড়ে যায়, বাল্যশ্রম বা কিশোরশ্রম এবং মহিলা শ্রমিকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়, পারিবারিক কলহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে হরহামেশা, বিবাহ স্থগিত হয় উল্লেখযোগ্য হারে, বাগদান ভেঙ্গে পরে ব্যাপক হারে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পায়, ভিক্ষা বৃত্তির সাথে সাথে ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে যায়, তখন মার্কিন মুল্লুকে সবার মুখে মুখে শুনা যেত “Brother, Can You Spare a Dime?” অর্থাৎ “একটা পয়সা হবে ভাই?”
মহামন্দা থেকে পরিত্রানের জন্য তৎকালীন মার্কিনপ্রেসিডেন্ট Franklind D. Roosevelt চালু করেছিলেন New Deal, Work Progress Administration (WPA), Tennessee Valley Authority (TVA), National Recovery Administration (NRA), Agricultural Adjustment Administration (AAA) এবং Unemployment Compensation সহ নানবিধ কর্মসূচী, তারপরেও মহামন্দা থেকে সাতরে তীরে উঠতে তাদের সময় লেগে যায় ১৯৩৯ অব্দি।
ইউরোপে অর্থনৈতিক স্থবিরতার সাথে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশেষ করে জার্মানিতে ইহুদি নিধন শুরু করে হিটলার এই সময়েই। আর ইন্ডিয়া তখনও ব্রিটিশদের যাতা কলে পিষ্ট হতে থাকে, একদিকে তাদের উৎপাদিত পণ্য ব্রিক্রি না করতে পেরে বিক্রতাদের মাথায় হাত, অন্যদিকে ব্রিটিশদের কর গুনতে গুনতে তাদের জীবন প্রায় শেষ। ১৯২৯ সালে শুরু হওয়া বিশ্বমন্দা চলতে থাকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত, ঠিক এর পরপরই শুরু হয় আরেক অনাকাঙ্ক্ষিত অধ্যায়, ২য় বিশ্বযুদ্ধ। সেটা আজকের আলোচনার বিষয় নয়।
কোভিড–১৯, আজ অব্দি একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় মহামারী। করোনা ভাইরাস রোগ ২০১৯ (COVID-19) একটি মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি যা ডিসেম্বর ২০১৯ এর শেষদিকে চিনের হুয়েই প্রদেশের রাজধানী উহানে সর্বপ্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল এবং এর পর থেকে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। ১৭ই এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত, ২১৩টি দেশে ২.২ মিলিয়ন লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং ১৫০৬২৫ এরও বেশিলোক মারা গিয়েছে। চায়নার উহান থেকে উৎপত্তি ঘটে এশিয়া, ইউরোপ থেকে সুদুর আমেরিকা আর আফ্রিকা কোন দেশই করোনা ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে পারেনি।ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানিজেশন (WHO) ইতিমধ্যে কোভিড–১৯ কে বৈশ্বিক মহামারী বলে আখ্যায়িত করেছে।
কোভিড–১৯ আমাদেরকে কেন জানি মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই ব্ল্যাক ডেথের কথা, আরেকটি ধ্বংসাত্মক বৈশ্বিক মহামারী যা ১৩০০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপ এবং এশিয়াতে আঘাত করেছিল। এটি ছিল এক মহামারী প্লেগ।১৩৪৭ এর অক্টোবরে মাসে কৃষ্ণ সাগরের ১২টি জাহাজ যখন ইটালির মেসিনার সিসিলিয়ান বন্দরে নোঙ্গর করে, তখন দেখা গেল জাহাজের বেশিরভাগ নাবিক মারা গিয়েছিলেন এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা মারাত্মকভাবে অসুস্থ ও মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ে রয়েছেন। সিসিলিয়ান কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে এই জাহাজ বহরটিকে “death ships” ঘোষণা করে বহরটিকে বন্দর থেকে বের করে দেওয়ার আদেশ দেওয়ার আগেই অনেক উৎসুক জনতা জাহাজে ভিড় করে। যার ফলস্রুতিতে মানুষের মধ্যে প্লেগ রোগটি নিমিষেই ছড়িয়ে পরে। পরবর্তী চার–পাঁচ বছরে ১৩৪৭–৫১সাল পর্যন্ত, ব্ল্যাক ডেথ ইউরোপ, এশিয়া, ও উত্তর আফ্রিকায় বিস্তার লাভ করে এবং এতে প্রায় ২৫ মিলিয়নেরও বেশি লোক মারা যায়। তবে বলা হয়ে থাকে, প্রকৃতপক্ষে, ১৩৪০ এর দশকের গোড়ার দিকেই, এই রোগটি চীন, ভারত, পার্সিয়া, সিরিয়া এবং মিশরে নাকি ছড়িয়ে পড়েছিল। যাই হোক, death ships এর নাবিকদের প্রথমে তাদের জাহাজে ৩০ দিনের জন্য (পরবর্তীতে তা ৪০ দিনে বর্ধিত করে) রাখা হয়েছিল উত্তর ইটালি ও অষ্ট্রিয়ার সীমান্ত এলাকায়, একে বলা হতো পৃথকীকরণ, যা থেকে আজকের আধুনিক “কোয়ারানটাইন” “quarantine” এর জন্ম।
ওয়েলস কবি Ieuan Gethin ব্ল্যাক ডেথের সবচেয়ে চাক্ষুস বর্ণনা দেন ১৩৪৯ সালে এভাবে
“We see death coming into our midst like black smoke, a plague which cuts off the young, a rootless phantom which has no mercy for fair countenance. Woe is me of the shilling of the armpit…It is of the form of an apple, like the head of an onion, a small boil that spares no-one. Great is its seething, like a burning cinder, a grievous thing of ashy colour…They are similar to the seeds of the black peas, broken fragments of brittle sea-coal…cinders of the peelings of the cockle weed, a mixed multitude, a black plague like half pence, like berries…(Davies, 411). ”
“ আমরা দেখতে পাচ্ছি, মৃত্যু আমাদের মাঝে ঠিক যেন একটি কালো ধোঁয়ার মতো ছড়িয়ে আছে, একটি প্লেগ; যা কেড়ে নিচ্ছে সকল তারুণ্য, এ যেন এক অশরীরী ভৌতিক অবয়ব, যার চেহারায় কারো জন্যই কোন দয়া–মায়া নেই।দুর্ভাগ্য যেন আমার বগলের চেয়েও কাছে … এটি যেন ঠিক একটি আপেলের মতো, পেঁয়াজের মাথার মতো, একটি ফুঁসে উঠা ছোট ফোঁড়া, যা কাউকে ছাড় দিচ্ছেনা। দুর্দান্ত এটির দমবন্ধ করা অনুভুতি, এ যেন জ্বলন্ত অঙ্গারের মতো, ছাইরঙের বেদনার নাম … এ যেন মটরশুটির কালো বীজের মতো, সমুদ্র তটের ভঙ্গুর সমুদ্র–কয়লার মতোই ভাঙ্গা, … অঙ্গার হয়ে পড়ে থাকা ঝিনুকের খোসা–ঠিক যেন আগাছা, অগনিত সংখ্যক, আধা পয়সার মতো এই কালো প্লেগ, ঠিক যেন ছোট্ট জামের মতোই…(ডেভিস, ৪১১) ”
ব্ল্যাক ডেথের কারনে মানুষ বেকার হয়ে পরে, কৃষকরা ফসলি জমি থাকা সত্তেও চাষাবাদ করতে পারত না শুধুমাত্র পুজিও শ্রমিকের অভাবে, বেড়ে যায় দারিদ্র্যতা, সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে, মৃত ব্যক্তির লাশ পরে থাকে এখানে সেখানে, বাড়ি–ঘর হয়ে পড়ে বসবাস অযোগ্য, জনে জনে বিশৃঙ্খলা বেড়ে যায়, কলহ ও সামাজিক বিভেদ বৃদ্ধি পায় বহুগুনে, পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হয়, আবার এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করতে শুরু করে এই বলে যে তোমাদের মাত্রাতিরিক্ত অন্যায়, জুলুম, ব্যবিচার ও গুনাহের কারনে খোদা তায়লা আমাদেরকে এই বিপদের মধ্যে ফেলেছে, তাই তাদেরকে খোদার কাছেই মাফ চাইতে হবে। তবে ভাল দিক ছিল মানুষের মধ্যে ধর্মের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়, charitable কাজ বৃদ্ধি পায়, আবার মানুষ মানুষকে নতুন করে ভালবাসতে শিখে।
কোভিড–১৯ নামে করোনা ভাইরাসের আচমকা আঘাতে গোটা পৃথিবী আজ লন্ড–ভণ্ড, পৃথিবী যেন আজ থমকে গেছে, মানুষের চিরাচরিত নিয়ম–কানুন যেন কোথায় হারিয়ে গেছে, মানুষের চোখে–মুখে যেন এক অজানা আতঙ্ক, কোথাও যেন নেই জীবনের স্বাদ, সবাই যেন আজ ভিত–সন্ত্রস্ত।
বিশ্বের মোড়লরা থমকে একটু শান্ত হয়েছেন, দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার সাময়িক বন্ধ হয়েছে, জেনা–ব্যভিচার, মদের আসর আপাতত কমেছে বলে মনে হয়, পরাশক্তিগুলো যেন আজ ফিলিস্থিন ও সিরিয়ার মজলুমদের উপর কামান, গোলাবারুদ, মিসাইল নিক্ষেপ না করে নিজেকে নিয়েই ব্যাস্ত, আর যুদ্ধ বিমান তাক করছে না, মুনাফিকরাও যেন ধর্মকর্মে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে। আবার নাস্তিকরাও চুপিসারে আল্লাহর কাছেই যেন সাহায্য চাচ্ছে এই মরনব্যধি কোভিড–১৯ থেকে পরিত্রাণের আশায়।
যাই হোক কোভিড–১৯ এর প্রভাবে একদিকে মানুষ যেমন মারা যাচ্ছে লাখে লাখে, তেমনি ব্যবসা–বাণিজ্য ক্ষতির মুখে পড়ছে, এইতো Flybe এয়ারলাইনস বন্ধ হয়ে গেল, এমিরেট্স এয়ারলাইনস কর্মচারিদেরকে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠাল, অ্যাপেল স্টোরগুলো বন্ধ হয়ে গেল, মাইক্রোসফট কম্পানিও কর্মী ছাঁটাই করল ও বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল; বার, সিনেমা, জিম, মিউজিয়াম, গ্যালারী, হোটেল–রেস্তরা বন্ধ হল, ট্রাভেল–ট্যুরিজ্ম বন্ধ হল, এয়ারলাইনসগুলো বন্ধ হল, মানুষের মধ্যকার ব্যস্ততা যেন থমকে গেছে । Easter Holiday, Good Friday তে নেই তেমন কোন ব্যাস্ততা, holiday করতে মানুষ আজ পাগলপ্রায় নয়। সবাই আজ নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করছে, আর তাদের স্বীয় ধর্মানুসারে তাদের রব, খোদা, ঈশ্বর, ভগবান, দেবতাকে দিবানিশি ডাকছে, নিজের পাপের জন্য ক্ষমা আরাধনা করছে। পাশাপাশি সামর্থ্যবান তার সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতার হাতও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ভাংছে সংসার, সাথে বাড়ছে বেকারত্ব পাল্লা দিয়ে, পারিবারিক কলহ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন বাড়ছে হুহু করে। রাস্তা ঘাটে পড়ে থাকছে লাশ, গন কবর খোড়া হচ্ছে, লাশ হিমাগারে পড়ে থাকছে দিনের পর দিন, পাওয়া যাচ্ছেনা সৎকারের সময় বা ব্যবস্থাপনার মানুষ।
ডিপ্রেশন সহ্য করতে না পেরে জার্মানির অর্থমন্ত্রী Thomas Schaefer এর আত্মহত্যা, ইটালির প্রধানমন্ত্রীর Giuseppe Conte এর আকাশপানে মুক্তি ও সাহায্য পাওয়ার আকুতি যেমন বিশ্বমানবতাকে কোভিড–১৯ সম্পর্কে ভাবিয়ে তুলেছে, তেমনি আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী Leo Varadkar ও ফ্রান্সের ফিল্ম ডিরেক্টর Thomas Lilti, তাদের নিজস্ব ক্যারিয়ারের পাশাপাশি তাদের পুরনো চিকিৎসা পেশায় ফেরত যাওয়া বিশ্বকে আশান্বিতও করেছে। বিশ্বব্যাপি অগনিত রাজনৈতিক নেতা, স্পোর্টস ব্যাক্তিত্ত্ব, বিভিন্ন শ্রেণী–পেশার মানুষের মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ এবং অবসর ফেরত হাজার হাজার ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল অফিসার, প্যারামেডিকদের স্বেচ্ছায় চিকিৎসা সেবায় পুনরায় নিয়জিত হওয়া মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে আমারও পারি আমাদের দায়িত্বটুকু পালন করতে। আসুন সচেতন হই, হাত ধুই বার বার ২০ সেকেন্ড ধরে, সরকারি নির্দেশনা মানি, প্রশাসনকে সহযোগিতা করি, অপ্রয়োজনীয় যেকোনো সংস্পর্শ এড়িয়ে চলি। আমারা যেন আরেকটি ব্ল্যাক ডেথের সাক্ষী না হই।
সর্বশেষ আজকের আলোচনা শেষ করছি মুফতি ইসমাইল মেঙ্কের একটি tweet বার্তা দিয়ে-“Don’t panic, don’t be frustrated, don’t worry, you’re exactly where the Almighty wants you to be at this point in time. Whatever you’ve experienced so far is all part of His Divine Plan. It will shape and mould you into the person you’re meant to be”
পরিশেষে প্রার্থনা করছি, হে বিশাল আকাশ আর সুবিস্তির্ণ জমিনের মালিক, আমরা স্বীকার করছি যে আমরা আমাদের নফসের উপর জুলুম করেছি, আমরা গোটা পৃথিবীকে অশান্ত করে তুলেছি, পাপ–পঙ্কিলতায় নিজেদেরকে নিমজ্জিত করেছি বেশুমার, আমাদের পাপাচারে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে, আমাদের পাপাচারের তুলনায় তোমার রহমতের দরিয়া অনেক বড়, সে রহমতের আশায় আবার তোমার কাছেই আবেদন করছি, ইয়া মাবুদ, রব্বে কারীম, আমাদেরকে তুমি মাফ করে দাও, আমদের উপর তুমি গ্রেট ডিপ্রেশন ও ব্ল্যাক ডেথের মতো কোভিড–১৯কে আর আগ্রাসি করিও না, কোভিড–১৯কে তুলে নাও, আমদেরকে তোমার কাছে টেনে নাও। ইয়া আরহামুর রাহিমিন।
© লেখকঃ ওয়াহিদ মুহাম্মাদ মাহবুব, সলিসিটর, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস