একাত্তরের ভুল আবার করলে টুকরো টুকরো হবে পাকিস্তান

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ইস্যুতে পাকিস্তানের আক্রমণাত্মক অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রোববার পাটনায় বিজেপির ‘জনজাগরণ সভায়’ ইসলামাবাদকে পাল্টা হুশিয়ারি দেন তিনি।

রাজনাথ বলেন, ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের ভুল আর করার চেষ্টা করবেন না। তাহলে পাকিস্তানকে টুকরো হওয়া থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

রাজনাথ সিং বলেন, ‘সম্প্রতি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী (ইমরান খান)। সেখানে তিনি দেশের মানুষের উদ্দেশে বলেছেন, সীমান্ত এলাকার দিকে যাবেন না। খুবই ভালো পরামর্শ। কারণ একবার সীমান্তে এলে তারা আর ফিরে যেতে পারবে না।’

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ফের যদি একাত্তরের ভুল করে, তাহলে দুনিয়ার কোনো দেশই তাকে ফের ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না। তাদের মনে রাখা উচিত, বালুচ ও পশতুনদের ওপর কী ধরনের নিপীড়ন চলছে।’

সমাবেশে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার প্রশংসা করেন বিজেপি নেতারা। এ প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ছিল একধরনের ক্যান্সারের মতো। এতদিন এর মারাত্মক ফল ভোগ করছিল রাজ্যের মানুষ।’

এর কিছুদিন আগেই আজাদ কাশ্মীরকেও ভারতের অংশ বলে দাবি করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরও ভারতের অংশ। একদিন আক্ষরিক অর্থেই দিল্লি অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাশা করে।

৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল তথা কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন রদ করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে দেয় মোদি সরকার।

সরকারি বাহিনীর লাখ লাখ সদস্য মোতায়েন করে ঘিরে ফেলা হয় পুরো উপত্যকা। সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় ও সরকারি বাহিনীর তাণ্ডবের মতো বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর নজর কাড়ে।

এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, মানুষের নিজের মতবাদ প্রকাশের অধিকার রয়েছে। আমি খুব কম এ রকম খবর দেখেছি যেখানে বলা হয়েছে, ৩৭০ ধারা ছিল একটি অস্থায়ী আইন। আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে মানুষ কী বলছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

Advertisement