এবার বিরোধী নেতা করবিনের কাছে যাবেন থেরেসা

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টের অচলাবস্থা দূর করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। সেইসঙ্গে ব্রেক্সিটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের সঙ্গে আলোচনা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। করবিন এই আলোচনা প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা থেরেসা মের এ সিদ্ধান্তে নাখোশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে বারবার হোঁচট খাচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। একাধিকবার তাঁর বেক্সিট চুক্তি বাতিল হওয়ার পর বিকল্প প্রস্তাবও পার্লামেন্টে পাস করাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। পার্লামেন্টের চলমান এই সংকট নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল মঙ্গলবার দীর্ঘ সাত ঘণ্টা মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বৈঠক শেষে তিনি জানালেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করার বিষয়ে ভাবছেন তিনি। এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিনের সঙ্গে নতুন একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আশা করছেন, আগামী ১০ এপ্রিলের আগে যেকোনো একটি সিদ্ধান্তে সম্মত হবে পার্লামেন্ট। সংবাদমাধ্যম বিবিসি, ইনডিপেনডেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

থেরেসা মে বলেন, ‘আলোচনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন।’

এ ব্যাপারে ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনা করতে পারলে আমারও ভালো লাগবে। কেননা, আমাদের এ নিয়ে আলোচনাটা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার আগে পার্লামেন্টে এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রস্তাবনা তুলে ধরার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। দেশের জনগণের নিরাপত্তা এবং নিশ্চয়তার জন্য এটা খুবই জরুরি।’

তবে হুট করে বিরোধী দলের সঙ্গে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে সমঝোতার আলোচনায় দুশ্চিন্তায় পড়ছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের অনেকে।

ব্রিটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘লেবার পার্টির সঙ্গে আলোচনা করে যদি এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হয়, সে ক্ষেত্রে আমি বলব তা বেশ দুশ্চিন্তার। কেননা করবিন চাইবেন, তাঁর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে। বিরোধী নেতা কাস্টমস ইউনিয়নের যে প্রস্তাব দিচ্ছেন, তাতে বাণিজ্য নীতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।’

Advertisement