ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ‘ডিজিটাল সিটি’র পথে এগিয়ে যাচ্ছে সিলেট। ইতোমধ্যে পুরো নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে। এগিয়ে চলছে তারবিহীন নগরী গড়ার কাজও। এবার পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত সিলেটকে ‘কালার কোডিং’য়ে বদলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের বিশেষ আগ্রহে সিটি করপোরেশন সে উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। ‘কালার কোডিং’ বাস্তবায়িত হলে সিলেট নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের বাসা-বাড়িসহ সকল স্থাপনার রঙ হবে আলাদা। এতে বদলে যাবে সিলেট নগরীর রূপ। সৌন্দর্য্য বর্ধনের এই বিশেষ উদ্যোগ পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারমুক্ত নগরী গড়ার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার সড়কের বিদ্যুতের খুঁটি ও তার অপসারণ করা হয়েছে। মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। এরপর থেকে আলাদা রূপ পেয়েছে তারবিহীন ওই সড়কটি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়িত এই প্রকল্প উদ্বোধন করতে এসে সিলেটে ‘কালার কোডিং’ বাস্তবায়নের আগ্রহের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনকে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এরপর সিটি করপোরেশন ‘কালার কোডিং’ নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে।
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ’র তারবিহীন সড়কের উভয় পাশের স্থাপনার রঙ বদলে দিয়ে ‘কালার কোডিং’য়ের কাজ শুরু করতে চাইছে সিটি করপোরেন। শাহজালাল (রহ.) এর মাজারের প্রধান ফটকের রঙ আকাশী ও সাদা হওয়ায় ওই আদলেই সকল স্থাপনার রঙ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দরগার প্রধান ফটক থেকে মূল সড়ক পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আকাশী ও সাদা রঙ দিয়েই সাজানো হবে। এ লক্ষ্যে স্থাপনাগুলোর মালিকদের সাথে কথাও বলেছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা মনে করেন, ‘কালার কোডিং’ বাস্তবায়নের পর দরগার রাস্তার সৌন্দর্য্যবৃদ্ধি পেলে নগরীর সাধারণ মানুষও এ ব্যাপারে আগ্রহী হবেন। সিটি করপোরেশনের ‘কালার কোড’ মেনেই তারা তাদের বাসা-বাড়ির রঙ করবেন।
সিটি করপোরেশন সূত্র আরও জানায়, নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭ ধরণের রঙ দিয়ে ভবন সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে করপোরেশনের। এতে ২৭টি ওয়ার্ডের সৌন্দর্য্য আলাদাভাবে ফুটে ওঠবে। এতে নগরীর সৌন্দর্য্য বাড়বে কয়েকগুন। পর্যটকরাও সিলেটের প্রতি আরো বেশি আকৃষ্ট হবেন।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাই সিলেটকে ব্যতিক্রমী স্মার্টসিটি হিসেবে গড়ে তুলতে। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ‘কালার কোডিং’ বাস্তবায়ন করা গেলে স্মার্ট সিটির দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে সিলেট। তবে নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’
সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ‘হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ এলাকার পর সকল ওয়ার্ডে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সিটি করপোরেশনের। নগরবাসীর সহযোগিতা পেলে কালার কোডিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের চেহারা পরিবর্তন করে দেওয়া সম্ভব।’