ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ঈদ আসতে আর বেশি দিন বাকি নেই। কোরবানির ঈদে মাংস কাটা, ধোয়া, গুছিয়ে রাখাতে অনেকটা সময় লেগে যায়। বারবার পানিতে হাত দেওয়ায় হাত হয়ে যায় রুক্ষ আর খসখসে। তাই ঈদের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই দরকার হাত ও পায়ের বিশেষ যত্ন।
হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার ক্লিনিকের রূপবিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমি জানান, হাত ও পায়ের ত্বক মসৃণ এবং সুন্দর রাখার সহজ কিছু উপায়। কোরবানির ঈদে যেহেতু কাজ বেশি থাকে, তাই বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া হয়। এর ফলে হাত হয়ে যায় শুষ্ক। তাই ঈদের বেশ কিছুদিন আগে থেকে হাত ও পা ময়েশ্চারাইজ করার পরামর্শ দেন তিনি। নারকেল তেল, লেবুর রস ও গ্লিসারিন একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন এটি হাত-পায়ে ব্যবহার করুন। এটি খুবই ভালো ময়েশ্চারাইজারের কাজ করবে।
এক কাপ নারকেলের দুধ ও এক টেবিল চামচ কাঠবাদামবাটার সঙ্গে পরিমাণমতো বেসন মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। কিছুক্ষণ রেখে ভালো করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন এই প্যাক ব্যবহারে হাত ও পায়ের আর্দ্রতা বজায় থাকার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।
ডিমের কুসুম ও ওটমিলের প্যাক
কুসুম গরম দুধে মধু মিশিয়ে হাত কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। এরপর একটি ডিমের কুসুম, ১ চা-চামচ অলিভ অয়েল ও ৩ টেবিল চামচ ওটমিল পেস্ট করে ১৫ মিনিট হাত ও পায়ে লাগিয়ে রাখুন। প্যাক শুকিয়ে গেলে মধু মেশানো দুধটুকু দিয়ে ভালোভাবে ঘষে নিন। যাঁদের হাত ও পা অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁদের জন্য এই প্যাক খুবই কার্যকর।
দুর্গন্ধ ও দাগ হলে
মাংস ধোয়ার পর হাতে কাঁচা মাংসের গন্ধ রয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পানিতে লেবু ও লবণ মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ হাত ভিজিয়ে রাখুন। হলুদ বা অন্যান্য মসলার কারণে হাতে দাগ পড়লে মধুর সঙ্গে লেবু মিশিয়ে দাগের স্থান পরিষ্কার করে নিন।
আরও কিছু—
মোটা দানার চিনি ও লেবুর রস একসঙ্গে পেস্ট বানিয়ে দুই হাতে ঘষুন ১৫ মিনিট। তারপর হাত ধুয়ে ফেলুন। সব ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
একটি ছোট গামলায় পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার সানবার্ন ও পায়ের গন্ধ দূর হবে।
লেবুর খোসাও পায়ে ঘষতে পারেন। এতে পায়ের ময়লা দূর হবে।
আপনার নখ বেশি দুর্বল হলে পানি নাড়াচাড়া করে কাজ করার সময়টা কমিয়ে আনুন। বেশি পানি নাড়লে নখ আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং সহজে ছিঁড়ে যেতে পারে। মাসে অন্তত দুবার বাড়িতে অথবা ভালো কোনো পারলারে গিয়ে ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করা উচিত।
কেবল স্বাস্থ্যকর খাবারই সুস্থ ও মজবুত নখ নিশ্চিত করতে পারে। প্রোটিন ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া বাড়িয়ে দিন। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পানি পান করুন, যাতে আপনার শরীর ও নখে যথেষ্ট পরিমাণে পানির সরবরাহ বজায় থাকে।