ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: আমেরিকা হঠাৎ করে রোববার রাতে সিরিয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু এলাকা থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তুরস্ক যেকোনো সময় সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে জড়াতে চায় না। খবর বিবিসির।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলছে, তুরস্ক খুব শিগগির তাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তর সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। মার্কিন সৈন্যরা ওই সংঘাতে জড়াতে চায় না।
আইএসকে পরাজিত করার পর ওই অঞ্চলে মার্কিন সৈন্যরা আর থাকবে না। এরদোগানের এক টেলিফোনে কুর্দিদের ত্যাগ করলো ট্রাম্প।
মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ফলে তুরস্কের জন্য কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান চালানোর সুযোগ তৈরি হলো।
অথচ কিছু দিন আগ পর্যন্তও কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফ মিলিশিয়ারা ছিল মার্কিন বাহিনীর প্রধান মিত্র।
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এসডিএফ মিলিশিয়ারা মার্কিনিদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে।
তবে সম্প্রতি কুর্দি যোদ্ধাদের অভিযোগ, নিজেদের স্বার্থ হাসিলের পর ওয়াশিংটন তাদের অঙ্গীকার পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এখন আমেরিকা তাদের সৈন্যদের সরিয়ে নেয়ার পর ক্ষুব্ধ কুর্দিরা বলেছেন, ওয়াশিংটন তাদের পিঠে ‘ছুরি মেরেছে’।
এসডিএফের একজন মুখপাত্র আরবি টিভি চ্যানেল আল হাদাতকে বলেছেন, আমেরিকা আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে এই অঞ্চলে তুরস্কের সামরিক অভিযান তারা করতে দেবে না।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে আমরা বিস্মিত হয়েছি। এসডিএফের জন্য এটা পিঠে ছুরি মারার শামিল।
এ বছর জানুয়ারি মাসেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, তুরস্ক যদি কুর্দি বাহিনীগুলোর ওপর আক্রমণ চালায় তা হলে তুরস্ককে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেয়া হবে।
কিন্তু রোববার হোয়াইট হাউস, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে দৃশ্যত এ নীতির পরিবর্তন হচ্ছে এবং এতে কুর্দি যোদ্ধাদের কোনো উল্লেখই ছিল না।