ওএমএস’র চাল কালোবাজারিদের কঠোর শাস্তি

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রমের চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ সোমবার (১৩ এপ্রিল) দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে লিখিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেন খাদ্যমন্ত্রী। এই চিঠির কপি সব পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে কালের কণ্ঠকে এসব তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের পিআরও সুমন মেহেদী।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন ও বেকার হয়ে পড়া দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিন আনে দিন খাওয়া মানুষ, কারখানার শ্রমিক, হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের জন্য সরকার ১০ টাকা কেজি দরে সারা দেশের বিভাগীয় শহর জেলা শহর এবং পৌরসভাগুলোতে ওএমএস কার্যক্রম শুরু করেছে।

এই কার্যক্রমের চাল ভোক্তাদের হাতে না দিয়ে একশ্রেণির লোক কালোবাজারি করছে এবং চুরি করছে। যা সরকারের এই কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সারা দেশে চাল চুরি সংক্রান্ত অভিযোগে ৪৫টি মামলা হয়েছে। এসব নিয়ে এরইমধ্যে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে একাধিকবার বলেছেন, যারা ওএমএস’র চাল চুরি আত্মসাৎ কিংবা কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এরইমধ্যে এ বিষয়ে দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সারা দেশের পুলিশ সুপারদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে যে, যারা বা যেসব ব্যক্তি ১০ টাকা কেজি দরের ওএমএসের চাল কালোবাজারি ও চুরির সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

এদিকে, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে লেখা অপর একটি চিঠিতে খাদ্যসচিব ড. মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম ওএমএস, বিশেষ ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ভিজিডির চাল আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

সচিব তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ওএমএস’র চাল বিভিন্ন ডিলার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও গোডাউনসহ তাদের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ আত্মসাৎ করছেন। এরইমধ্যে অনেক স্থানে স্থানীয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় আত্মসাৎ করা চাল জব্দ করে মামলা করেছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়সহ সর্বমহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

খাদ্যসচিব তাঁর চিঠিতে আরো উল্লেখ করেছেন, এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত কিংবা পরিকল্পিত চাল আত্মসাতের ঘটনা তাঁদের নজরে এলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই ডিলারের জামানত বাজেয়াপ্ত এবং ডিলারশিপ বাতিল করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। প্রয়োজনে কোনো এলাকার সব ডিলারশিপ বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া কিংবা জেলা প্রশাসকরা তাঁদের বিবেচনায় দক্ষ, যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিকে ডিলার হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন।

Advertisement