ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা আছে।
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
‘অনুমতি না নিয়ে সভা-সমাবেশ করার সাহস, শক্তি বা সক্ষমতা বিএনপির নেই’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তারা এখন নিজেদের প্রভু ভাবতে শুরু করেছেন। রাষ্ট্রের প্রভু তারা, এটিই তাদের সমস্যা হয়ে গেছে। সবকিছু তারা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। ভিন্ন একটি রাজনৈতিক দল কীভাবে চলবে এটিও তারা নিয়ন্ত্রণ করতে চান। অথচ সংবিধানে খুব পরিষ্কারভাবে সব দলকে সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদ করার অধিকার দেয়া আছে।
আওয়ামী লীগ আগেও প্রভুত্ব দেখিয়েছে, মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করে প্রভু বনে গিয়েছিল। আবার এখন তো ১০ বছর ধরে দেশে প্রভুত্ব করছে। এখন তারা পাকাপোক্ত প্রভু হিসেবে ক্ষমতায় থাকতে চান; যেটি তাদের মানসিকতার সমস্যা। গণতান্ত্রিক চেতনা তাদের মধ্যে নেই। তারা নিজেদের রাজা-বাদশা ও প্রভু ভাবতে শুরু করেছেন।
নতুন নির্বাচন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। কারণ তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। তাই অবিলম্বে এই নির্বাচনের ফল বাতিল করে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে পুনরায় নির্বাচন করা উচিত।
বিএনপির সভা-সমাবেশে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তালবাহানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সভা-সমাবেশ করার অনুমতি চাই না, আমরা অবগত করি। সভা-সমাবেশ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা করলে পিডব্লিউডি, সড়কে করলে পুলিশের কাছে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এই সরকার যেটি করছে, সেটি গ্রাম্য মোড়লের কায়দায়। সরকার সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে তালবাহানা করে থাকে। সভা-সমাবেশের দুই ঘণ্টা আগে অনুমতি দিয়ে থাকে। এতে সমাবেশ সফলভাবে করা খুব কঠিন।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহসভাপতি নূরে সাহাদাত স্বজন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূর করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।