ওমানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার রুবেল (২৬), পেশায় একজন ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রী। মাত্র ছয় মাস পূর্বে জীবিকা নির্বাহ করে পরিবারের সুখের আশায় সবাইকে ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে গমন করেন তিনি। গত ২৯ মার্চ রাত ৮টার মালিকের বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করার সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে পুরো শরীরের এক তৃতীয়াংশ জ্বলসে যায় তার।

মস্কেটের হাসপাতালে ১৫ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রুবেল হাটহাজারী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আদর্শগ্রাম উত্তর পাহাড় দুলালের দ্বিতীয় পুত্র। তার স্ত্রী ও এক ২ বছরের কন্যা শিশু সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ রাত ৮টার মালিকের বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করছিলেন রুবেল। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে পুরো শরীরের এক তৃতীয়াংশ জ্বলসে যায় তার। দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু লকডাউনের কারণে কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত মাস্কেটের একটি হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ১৫ দিন আইসিউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার গত সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রুবেল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার গ্রামের সহপাঠী মোরশেদ কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, রুবেল কিছুদিনের মধ্যে তার কর্মস্থলে আমাকেও নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে। দেশের মাটিতেও একসঙ্গে কাজ করেছি। তার কাছ থেকে সব কাজ শিখেছি আমি, সে আমার বন্ধু ও উস্তাদ ছিল। এমনভাবে হারাবো কখনো ভাবিনি। যেদিন তার অগ্নিদগ্ধের খবর পাই সেদিন থেকে আমি যেন সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি, বলছিলেন মোর্শেদ।

নিহতের পারিবার জানিয়েছে, গত ছয় মাস আগে রুবেল শ্রমিক ভিসায় ওমানের ইবরায় পাড়ি জমান। প্রতিদিনেই পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। তার ছোট্ট শিশুর জন্য কথা বলতে বলতে কাঁদতেন। আজ সবাইকে ছেড়ে চলে গেছে সুখ-সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে।

এদিকে প্রবাসে স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী সুখি আকতার বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। শোকে স্তব্ধ রুবেলের বাবা-মা সন্তানের লাশ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ওমান বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

Advertisement