কঠিন ম্যাচে ইন্টারকে হারিয়ে টিকে রইল রোনালদোদের আশা

সিরি-আ লিগের ৩৭তম রাউন্ডে জমজমাট লড়াই উপহার দিলো সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন। রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ হাসি হাসল জুভেন্টাস। শনিবার রাতে নাটকীয় এ ম্যাচে ইন্টার মিলানকে ৩-২ গোলে হারিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো অ্যান্ড কোং। এই জয়ে আগামী মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের আশা বেঁচে থাকল তুরিণের বুড়িদের।এ ম্যাচে অম্লমধুর অভিজ্ঞতা হলো রোনালদোর। ভিএআর থেকে প্রাপ্ত পেনাল্টি মিস করেন পর্তুগিজ যুবরাজ। সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য শাপমোচন করেন ফিরতি শটেই। ম্যাচের বয়স তখন ২৪ মিনিট। সমতায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি ইন্টার মিলান। পাল্টা পেনাল্টি থেকে ১১ মিনিটের মধ্যে দলকে সমতায় ফেরান রোমেলু লুকাকু। আর বিরতির বাঁশির আগেই ম্যাচে ফের এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। গোল করেন হুয়ান কুয়াদরাদো।গোলটা অবশ্য সৌভাগ্যবশত! কলম্বিয়ান মিডফিল্ডারের বুলেট গতির শট ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের পায়ে লাগলে বল দিক পাল্টে খুঁজে নেয় গোলের ঠিকানা। ঝাঁপ দিয়েও বল ঠেকাতে পারেননি ইন্টার মিলান গোলরক্ষক।প্রথমার্ধের এমন থ্রিলার আরও জমজমাট ম্যাচের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে তা ছাড়িয়ে গেছে প্রত্যাশার সীমা। এই অর্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, পেনাল্টি, আত্মঘাতী, গোলপোস্টের নাটকীয়তা- কি না ছিল!

খেলার ৫৫ মিনিটেই ১০ জনের দলে নেমে আসে জুভেন্টাস। লুকাকুকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রদ্রিগো বেন্তানকুর। খুব স্বাভাবিকভাবেই রক্ষণাত্মক কৌশলের আশ্রয়ে যায় জুভরা। এমনকি রোনালদোকেও মাঠ থেকে ‍তুলে নেন আন্দ্রে পিরলো। তবু গোলবার অক্ষত রাখা গেল না। ৮৪ মিনিটে নিকোলো বারেল্লার ক্রস কিয়েল্লিনির গায়ে লেগে বল জড়িয়ে যায় জালে। আত্মঘাতী!এই গোলে থাকল কিছুটা নাটকীয়তা। প্রথমে গোলের বাঁশি বাজাননি রেফারি। পরে ভিএআর-এ দেখা যায় জর্জ কিয়েলিনিই লুকাকুকে ফাউল করেছেন। দুজনই পড়ে যান মাটিতে। এবার ৯ জনের দলে নেমে আসে জুভেন্টাস। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জুভেন্টাস অধিনায়ক।

শেষের নাটকীয়তা তখনও বাকি ছিল। ইভান পেরিসিচ ডি-বক্সে ফাউল করেন কুয়াদরাদোকে। ফলে ৮৮ মিনিটে ম্যাচের তৃতীয় পেনাল্টি যায় জুভেন্টাসের পক্ষে। স্পট কিক থেকে ব্যবধান ৩-২ করেন কলম্বিয়ান তারকা। পরে আরও একটা গোল হজম করার পালা হয়েছিল ইন্টার মিলানের। কুয়াদরাদোকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইন্টার মিলান ডিফেন্ডার মার্সেলো ব্রজোভিচ। তবে এ যাত্রায় বেঁচে যায় মিলান। যাতে শেষ পর্যন্ত ওই ৩-২ ব্যাবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আন্দ্রে পিরলোর শীষ্যরা।রোমাঞ্চকর এই জয়ে ৩৭ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে অবস্থান জুভেন্টাসের। সমান ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি টেবিলের শীর্ষে ইন্টার মিলান। আর ১০ পয়েন্ট কম (৭৮) নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে আটালান্টা। তিনে থাকা এসি মিলানের সংগ্রহ জুভেন্টাসের সমান ৭৫ হলেও ম্যাচ খেলেছে ৩৬টি। সমান ম্যাচে দুই পয়েন্ট কম নিয়ে পাঁচে নেমে গেছে নাপোলি।

Advertisement