ফেসবুককে উদ্ধৃত করে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্ল্যাটফর্মটির ৯০ শতাংশ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য চিহ্নিত করার আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে মিডিয়া পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘মিডিয়া ম্যাটারস’ জানিয়েছে, ওই গ্রুপগুলো তাদের পেজে ‘জাতিবিদ্বেষী ও নারীবিদ্বেষী অপপ্রচার’ চালিয়ে থাকে। হ্যারিসের বিরুদ্ধেও সেগুলোয় নিয়মিত হারে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য পোস্ট করা হয়ে থাকে। তবে তা সত্ত্বেও ফেসবুক জানিয়েছে, তারা গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না।
মিডিয়া ম্যাটারসের প্রেসিডেন্ট এঞ্জেলো কারুসন বলেন, মিডিয়া কোনো ক্ষতিকর পোস্ট চিহ্নিত করার পর তা সরিয়ে নেওয়ার যে নীতি ফেসবুক অনুসরণ করে তা থেকে প্রমাণ হয় যে, তাদের প্রতিষ্ঠিত নিয়মনীতিগুলো যথার্থ নয়। কারণ, তারা পোস্ট চিহ্নিত করা ও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি জোর দেয় না।
তিনই বলেন, আমরা শনাক্তকরণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একেবারে স্পষ্ট পোস্টগুলোর কথা বলছি। সেগুলোও তৃতীয় পক্ষ চিহ্নিত করার আগে ফেসবুকের নজর এড়িয়ে গেছে।
বিবিসির চিহ্নিত করা পেজগুলোয় হ্যারিসের মা ও বাবার জন্মস্থান টেনে তার মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হ্যারিসের মা একজন ভারতীয় ও বাবা একজন জামাইকান। এছাড়া, বিভিন্ন মন্তব্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, তিনি ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত কৃষ্ণাঙ্গ নন। অপর এক পোস্টে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রোলে তার নাম নিয়ে উপহাস করা হয়েছে।
ওই পেজগুলোর একটির সদস্য সংখ্যা ৪ হাজার ও অপর একটির ১ হাজার ২০০। সেগুলো থেকে বেশ কয়েকটি নারীবিদ্বেষী ও অশালীন পোস্টও সরিয়ে দিয়েছে ফেসবুক।
উল্লেখ্য, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিজ্ঞাপনদাতা ও নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে ফেসবুক। তাদের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে গত আগস্টে কয়েকশ’ কোম্পানি প্ল্যাটফর্মটিতে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়।
এর আগে অনেক ক্যাম্পেইনার বিবিসিকে জানিয়েছেন, ফেসবুকের আভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণকারী সরঞ্জামগুলো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য শনাক্ত করে না ও কিছু ক্ষেত্রে সেগুলোর প্রচারণাও চালায়।
গত আগস্টে ফেসবুকের নিজস্ব নাগরিক-অধিকার অডিটে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিষয়ে হৃদয়বিদারক ও বিক্ষুব্ধকর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।