করবি’র আগের জীবন যাত্রায় আর বর্তমান জীবন যাত্রায় রয়েছে অনেক তফাত

এহসানুল ইসলাম চৌধুরী শামীম,করবি থেকে ফিরে:
মিনি স্কটল্যান্ড খ্যাত নর্থাম্পটন শায়ারের করবি তে স্কটিশ জনসংখ্যার মাঝে দিন দিন বাড়ছে বাঙালীদের পরিবার।করবিতে প্রায় পচিশটি পরিবারের প্রায় দেড় শতাধিক বাঙালী বসবাস করছেন।

১৯৭৯ সালে করবিতে সোনা রাজা চৌধুরী,রুপা রাজা চৌধুরী,আয়না রাজা চৌধুরী ও তাদের খালাত ভাই আমির আলী নামের এ চার জন বাঙালী প্রথম করবিতে বসবাস শুরু করেন।
আয়না রাজা চৌধুরী প্রথম করবি আসা প্রসঙ্গে বলেন আমরা যখন এসেছি তখন কোন বাঙালী ছিল না।আসার পর প্রথম দিকে ভাল ছিলাম। পরে স্টিল ফেক্টরী বন্দ হওয়ার পর আমরা ৮ বছর খুব কষ্ট করেছি।

এখন আমরা ভাল ভাবে বসবাস করছি।কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
করবি টাউন হল বা করবি কিউব নামে পরিচিত এ ভবনের সামনে দাড়িয়ে থাকা মুরালটি স্টিলের তৈরী।

এক সময় করবি আয়রন স্টিলের জন্য বিখ্যাত ছিল।বিশ দশকের দিকে স্টিল ওয়ারকার হিসাবে স্কটল্যান্ড থেকে মাইগ্রেন্টরা আসার কারনে করবিকে মিনি স্কটল্যান্ড বলা হয়।

১৯৮০ সালে করবি থেকে স্টিল উ্যপাদন বন্দ করা হয়।
করবিতে আগে নামাজ পড়ার মত কোন মসজিদ ছিল না।অনেক কষ্ট করে নামাজ আদায় করতে হত মুসল্লিদের।২০১১ সালে করবি সেন্ট্রাল মসজিদ হয়।

এখন এক সাথে প্রায় ২০০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পাড়ছেন।
করবি বরা কাউন্সিললের প্রথম বাঙালী সিভিক মেয়র ছিলেন মুজিবুর রহমান আসগির।

আর প্রথম কাউন্সিলর ছিলেন ইউছুফ চৌধুরী সাদ।তিনি করবি মুসলিম এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান। ইউছুফ বলেন করবি ছোট টাউন হলেও আমরা সব দিকে উন্নত। দিন দিন করবিতে বাঙালীারা আসছেন।
১৯৭৯ সলে করবিতে রকিংহাম রোডে প্রথম রেস্টুরেন্ট ছিল আনারকলি।এখন ১০/১২ টি টেকওয়ে ও রেস্টুরেন্ট আছে।
আগের জীবন যাত্রা বর্তমান জীবন যাত্রায় রয়েছে অনেক তফাত।নতুন প্রজম্মের অনেকেই আধুনিক জীবন যাত্রার অনেক কিছু গ্রহণ করছেন।

Advertisement