করোনায় ব্রিটেনে বাংলাদেশীদের ঝুঁকি দ্বিগুন

করোনায় ব্ল্যাক এন্ড এশিয়ান এথনিক কমিউনিটির এনএইচএস স্টাফরা বেশি মারা যান

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ব্রিটেনে করোনায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ইংলিশদের তুলনায় ব্ল্যাক এন্ড এশিয়ান এথনিক মাইনোরিটির মানুষের সংখ্যা বেশি বলে এক রিপোর্টে জানিয়েছে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনায় পুরো ইউকের মধ্যে যতো মানুষ মারা গেছেন, তাদের মধ্যে লন্ডনে সবচাইতে বেশি। বিশেষ  করে সাউথ ইস্ট ইংল্যান্ডের তুলনায় লন্ডনের মৃত্যুর হার তিনগুন বেশি। এছাড়া আর গণবসতি এলাকাগুলিতে দ্রুত আকারে করোনা ছড়িয়েছে। বিশেষ করে ক্যাব চালক, নিম্ন আয়ের কর্মজীবি মানুষ, যারা কর্মস্থলে গিয়ে গণমানুষকে সার্ভিস দিয়েছে তারা, নিরাপত্তা কর্মী এবং কেয়ার ওয়ার্কারের মাধ্যমে লন্ডনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমিত হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২০ মার্চ থেকে ৭ মে’র ভেতরে লন্ডনে ৯ হাজার ৩৫ জন মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৩শ ৮৩ জন মারা যান করোনায়।

লন্ডনে প্রতি ১ শ হাজারের মধ্যে করোনার চিকিৎসা নিয়েছেন ব্ল্যাক এন্ড এশিয়ান এথনিক কমিউনিটির ৪৮৬ জন মহিলা এব ৬শ ৪৯ জন পুরুষ ছিলেন। আর শ্বেতাঙ্গ কমিউনিটির ছিলেন ২২০ জন মহিলা এবং ২২৪ জন পুরুষ। অন্যদিকে প্রতি ১ শ হাজারের মধ্যে মারা গেছেন ব্ল্যাক এথনিক কমিউনিটির  ১১৯ জন মহিলা এবং ২৫৭ জন পুরুষ। আর এশিয়ান ৭৮জন মহিলা এবং ১৬৩ জন পুরুষ এবং অন্যান্য এথনিক কমিউনিটি থেকে ৫৮ জন মহিলা এবং ১১৬ জন পুরুষ মারা গেছেন প্রতি ১শ হাজারের মধ্যে। সেই তুলনায় শ্বেতাঙ্গ কমিউনিটির মারা গেছেন ৩৬ জন মহিলা এবং ৭০ জন পুরুষ।

এদিকে রিপোর্টে বয়স, লিঙ্গ এবং অন্যান্য সার্বিক পরিস্থিত বিবেচনা করে বলা হয়েছে ইউকের বাংলাদেশী কমিউনিটি মানুষের করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি শ্বেতাঙ্গদের চাইতে দ্বিগুন বেশি। টিক একই সময়ে চীনা, পাকিস্তানীসহ অন্যান্য এশিয়ান, ক্যারাবিয়ান এবং ব্ল্যাক কমিউনিটির মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি সাদাদের তুলনায় ১০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি।

 

মঙ্গলাল পার্লামেন্টে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন হেলথ সেক্রেটারী মেট হ্যানকক। এসময় তিনি বলেছেন, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের রেশ ধরে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তার নেতিবাচক প্রভাবের কথা বিবেচনা করেই রিপোর্ট প্রকাশে কিছুটা দেরি হয়েছে বলে তিনি বলেছেন। হেলথ সেক্রেটারী পার্লামোন্টে বলেছেন, এই রিপার্টের পরামর্শ মতে সরকার এসব এলাকাগুলির স্বাস্থ এবং পরিবেশ উন্নয়নে আরো কাজ করে যাবে।

Advertisement