সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৫৪ জনে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩০৫ জন। ফলে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ১৬২ জনে।শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৭১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৯৬৬ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৩৩টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৬০৫টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৮১১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি তিন লাখ ১৯ হাজার ৪০৪টি।
এতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত সাতজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে তিনজন, চট্টগ্রাম বিভাগে একজন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে একজন ও বরিশাল বিভাগে একজন রয়েছেন।মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন ও ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে একজন রয়েছেন।এতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১০৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৮৫ হাজার ৭৯৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৪৯ হাজার ১২৯ জন।বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৬ হাজার ৬৬৫ জন।