ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে ৬৩৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২১৪ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৭০ জন।
আজ শনিবার (৯ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারীরা সবাই পুরুষ। তাঁদের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৪ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩১৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৪১৪ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পাঁচ হাজার ২৪৭টি। আর পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৬৫টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ৬৩৬ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৭০ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৯১৯টি।
ডা. নাসিমা আরো জানান, ঢাকা সিটিসহ বিভাগে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ১৭৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৬৩ জন, রংপুর বিভাগে ২৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ২১১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০০ জন, বরিশাল বিভাগে ১৩০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ১৫৩ জন। ঢাকা বিভাগের মধ্যে এখনো সর্বাধিক সংখ্যক আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৩৫টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ১৯৬ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৩ জন। বর্তমানে আইসোলেনশনে আছেন দুই হাজার ১৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৪৩ জন। সারা দেশে আইসোলেশন সংখ্যা আট হাজার ৬৩৪টি। ঢাকা মহানগরীতে দুই হাজার ৯০০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আছে পাঁচ হাজার ৭৩৪টি।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন এক হাজার ৭৫৫ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৭১৮ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট দুই লাখ আট হাজার ৪০৫ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৭১ হাজার ২২২ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৭ হাজার ১৮৩ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে সেবা প্রদান যাবে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৩৩ হাজার ৩১২টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৪৫ লাখ ২২ হাজার ৮৪৮ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো ২৬ জন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬৮৬ জন। এ ছাড়া বর্তমানে চার হাজার ৫৯ জন চিকিৎসক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন বলে বুলেটিনে জানানো হয়েছে।