ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: করোনা সংক্রমণ নিয়ে জনগণকে বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছিল জর্ডান সরকার। কিন্তু তারা তা অবজ্ঞা করার কারণে চার দিনের জন্য কঠোর কারফিউ জারি করা হয়েছে। আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে মঙ্গলবার ২৪শে মার্চ পর্যন্ত এই কারফিউ বহাল থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ওমর রাজ্জাজ দেশে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন ১৮ই মার্চ। তারপরই কারফিউ জারি করেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ।
জর্ডান পুলিশের সাবেক মুখপাত্র কর্নেল বশির আল দা’জা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কারফিউ দেয়ার সিদ্ধান্তে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি তো আগেই সতর্ক করেছিলেন, যদি জনগণ বাড়িতে অবস্থান না করে বিশৃংখলা করে তাহলে তিনি দেশকে অচল করে দিতে বাধ্য থাকবেন।
তিনি তার কর্তৃত্বের ব্যবহার করছেন। এই কারফিউ প্রযোজ্য হবে ওইসব ব্যক্তির ক্ষেত্রে যারা হেঁটে চলবেন, গাড়িতে চলবেন তাদের ক্ষেত্রে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রহরা থাকবে না। তাই আমি আশা করবো, এসব স্থাপনা পাহারা দেয়ার জন্য সদস্যদের মোতায়েন করবে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি আরো বলেন, যে কেউ কারফিউ লঙ্ঘন করলে তা সহ্য করা উচিত হবে না জর্ডানের সেনাবাহিনীর।
লকডাউন কার্যকর করতে, মেডিকেল সেবা নিশ্চিত করতে এবং জরুরি সহযোগিতা নিশ্চিত করতে শুক্রবার জর্ডানের রাজপথে দেখা গেছে সেনাবাহিনীর গাড়ি। এ অবস্থায় আম্মানের অধিবাসী মোহাম্মদ আবু সাফিয়ে বলেছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পূর্বভাগে অবস্থিত মুদি দোকান, বেকারিগুলোতে মানুষের ভিড়ে উপচে পড়ছিল। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন। তাদেরকে সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছেন দোকানিরা। ফলে সেখানে যে হুড়োহুড়ি হয়েছে তাতে দূরত্ব রক্ষার যে আহ্বান জানানো হয়েছে তা লঙ্ঘিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী রাজ্জাজ বলেছেন, ২৪শে জানুয়ারি গঠন করা হয়েছে একটি ক্রাইসিস কমিটি। জর্ডানের জনগণকে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষায় এই কমিটি এ পর্যন্ত ১৩২টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পর্যন্ত তার দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯ জন। তার মিডিয়া বিষয়ক মন্ত্রী আমজাদ আদেইলে বলেছেন, সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন ৪৮৯২ জন। তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে আম্মান ও মৃতসাগর বা ডেড সি উপকূল এলাকায় ৩৪টি হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
প্রয়াত বাদশা হোসেন এবং বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর উপদেষ্টা আদনান আবু ওদেহ তার দেশের প্রধানমন্ত্রী রাজ্জাজ ও জর্ডানের নেতৃত্ব যেভাবে চলমান এই সঙ্কট মোকাবিলা করছে তার প্রশংসা করেছেন।