করোনা ভাইরাস : রেস্টুরেন্ট মুখি হচ্ছেন মিনিক্যাব চালকরা

এহসানুল ইসলাম চৌধুরী শামীম ॥ সারা বিশ্বে নতুন এক আতংকের নাম করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসের কারনে মানুষ এখন দিশেহারা। করোনার কারনে টেক্সি পেশার অবস্থা সুচনীয়।
ব্রিটেনের নর্থাম্পটনের অনেক ব্রিটিশ বাংলাদেশী টেক্সি ড্রাইভার মহামারি করোনা ভাইরাসে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও আগের মতো উপার্জন না থাকায় এ পেশা থেকে সরে যাচ্ছেন। তারা পুরনো পেশা রেষ্টুরেন্টের কাজে আবারও ফিরে গেছেন। কেউ কেউ করছেন শেফ, তান্দুরী শেফ, ওয়েটার আবার কেউ কেউ করছেন ডেলিভারীর কাজ।
অনেক ড্রাইভার তাদের আশানুরূপ জব না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। একেকটা জবের জন্য তাদেরকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। ফলে কাজ শেষে তাদের উপার্জন কম।তাই টেক্সি পেশায় আর কেউ কাজ করতে আগ্রহী নয়।
আব্দুল মতিন ৯ বছর ধরে টেক্সি চালাচ্ছেন। কিন্ত করোনা ভাইরাস আসার পর থেকে টেক্সির অবস্থা করুন। মতিন বলেন, “টেক্সিতে আগের মতো রুজি নাই। তাই বাধ্য হয়ে টেক্সি ছেড়ে দিতে হলো। এখন ফারকটনের রানী টেকওয়েতে ফুলটাইম ডেলিভারির কাজ করতেছি। এখন খুব ভালো ভাবে চলতে পারছি।” তিনি আরো বলেন, “এখন বেশীর ভাগ ড্রাইভার টেক্সি ছেড়ে দিয়ে রেষ্টুরেন্টে কাজ করছেন”। ফখরুল ইসলাম ৮ বছর ধরে টেক্সি পেশায় জড়িত ছিলেন।কিন্তু মহামারি করোনার কারনে তিনি আর টেক্সিতে কাজ করছেন না। বললনেন, “টেক্সির অবস্থা খুব খারাপ। এখন ১০/১২ ঘন্টা কাজ করে ও ৩০/৪০ পাউন্ড রুজি করা যায় না। তাই এখন রানি টেকওয়েতে টানডুরী শেফের কাজ করতাছি। করোনা কারোর জন্য পৌষ মাস আর আমার জন্য সর্বনাশ”।


খয়রুল আলম বলেন, “করোনা ভাইরাস আসার পর টেক্সিতে আগের মতো কাজ নাই। তাই কি করবো আবারও ফিরে গেলাম পুরনো পেশা রেষ্টুরেন্টের কাজে। স্পাইস কিউন টেকওয়েতে ডেলিভারি কাজ কররাম”।
২০১১ সালে নর্থাম্পটনশায়ারের ডাভেনটিতে টুয়েনটি ফোর সেভেন নামে একটি টাক্সি কোম্পানি করেছিলেন আমিনুল ইসলাম আমিন। বললেন, “প্রথম দিকে খুব ভালো ব্যবসা আমরা করেছি। অনেক বাঙালীরা রেষ্টুরেন্ট ছেড়ে টেক্সিতে এসেছিলেন। তারা ভালো ও করেছিলেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে এখন টেক্সি ব্যবসা খুন খারাপ। তাই অনেকে আবার পুরনো কাজে রেষ্টুরেন্টে চলে যাচ্ছেন। তাই আমাদের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। এখন টেক্সি ব্যবসা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে”।

Advertisement