ব্রিটবাংলা ডেস্ক : করোনা মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং বেতন বৈষম্য নিয়ে হতাশা ও অসন্তোষ্ট হয়ে অন্তত ১ হাজারের বেশি ডাক্তার এনএইচএস ত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন। আগামী তিন বছরের ভেতরে এনএইচএস থেকে বের হয়ে কেউ পেশা বদল করবেন, কেউ চলে যাবেন প্রাইভেট সেক্টরে আবার কেউ কেউ দেশ ত্যাগের পরিকল্পনা করছেন বলে এক সার্ভে রিপোর্টে বলেছেন।
ডক্টর’স এসোসিয়েশন ইউকে পরিচালিত এই জরিপে অংশ নিয়ে এসব ডাক্তাররা বলেছেন, প্রথম সারিতে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা চিকিৎসা করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে অবহেলার শিকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন তারা। তাদের মনে বেতন বৈষম্য নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে।
জরিপে ১৭৫৮ জনের বেশি ডাক্তার অংশ নেন। তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল, করোনা মহামারিতে করোনা এবং সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এনএইচএস থাকার বা ত্যাগ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না? এর জবাবে জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জন অর্থাৎ ১২১৪ জন ডাক্তার বলেছেন, এনএইচএস ত্যাগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাব ফেলেছে করোনা এবং সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ। জরিপে আরো একটি প্রশ্ন ছিল, পরবর্তী ১ থেকে তিন বছরের ভেতরে তারা কোথায় গিয়ে কাজ করতে আগ্রহী? জবাবে ১১৪৩ জন বলেছেন, তারা এনএইচএস ত্যাগ করবেন।
১ হাজারের বেশি ডাক্তার এনএইচএস ত্যাগ করলে মারাত্মকভাবে সংকট দেখা দিবে বলে মনে করছে ডক্টর’স এসোসিয়েশন ইউকে। ইংল্যান্ডে এখনো প্রায় ৮ হাজার ২শ ৭৮ টি ডাক্তারের পদ খালি রয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহনকারী ৭৪ শতাংশ ডাক্তার বলেছেন, বেতন বৈষম্যের কারণেও তারা এনএইচএস ত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। যদিও সম্প্রতি সরকার ইংল্যান্ডের ডাক্তার এবং কলসালটেন্টদের ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেতর বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। তবে তা বেশিরভাগ প্রশিক্ষণরত ডাক্তার এবং জিপিদের জন্যে নয়।
এছাড়াও পিপিই সংকটের কারণে ৬৫ শতাংশ, ডাক্তার হিসেবে পাবলিকলি কথা বলতে পারার কারণে ৫৪ শতাংশ, ঘোষণা অনুযায়ী করোনার সময় ফ্রি পার্কিং সুবিধা না পাওয়ায় ৪৬ শতাংশ এবং করোনার চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে ৪৫ শতাংশ ডাক্তার এনএইচএস ত্যাগের পরিকল্পনা করছেন।