ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: লকডাউনে স্থবির এখন দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশ। বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাব পড়েছে সবখানে। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে শিল্প কারখানায়। ব্যবসা-বানিজ্য বন্ধ প্রায়। জীবনের ঝুঁকি এড়াতে সরকারি নির্দেশে ঘরবন্দি পেশাজীবীরা। সবচেয়ে সংকটের মুখে চাকরিজীবীরা। লকডাউনেই শেষ হবে না তাদের দুর্দিন। লকডাউন পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দায় নানা পেশার বিপুল সংখ্যক চাকরিজীবী চাকরি হারাবেন।
বৃটেনের যেসব শহরে কর্মসংস্থান সংকটের আশঙ্কা রয়েছে স্কাই নিউজ প্রকাশ করেছে তার একটি তালিকা। সেন্টার ফর সিটিস-এর একটি গবেষণার ভিত্তিতে তারা এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। করোনা ভাইরাস সংকটের ফলে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে (কর্মসংস্থান সংকোচন) থাকা শীর্ষ শহরের তালিকায় উঠে এসেছে ক্রলি‘র নাম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাটউইক বিমানবন্দরের কাছে ওয়েস্ট সাসেক্সের এই শহরের বাসিন্দাদের অর্ধেকের চাকরিই এখন অরক্ষিত। গবেষণায় দেশের ৬২ বড় সিটি ও টাউনের উপর করোভাইরাস সংকটের অর্থনৈতিক প্রভাবের মূল্যায়ন করে তালিকাটি প্রণয়ন করা হয়। এতে বলা হয়, যেসব শহর বিমান শিল্পের উপর নির্ভরশীল সেগুলো সবচেয়ে হুমকির সম্মুখিন। ক্রলির বাসিন্দাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই বিমান ও বিমান প্রস্তুতকারী শিল্পে কর্মরত। গবেষণায় বলা হয়েছে, এই শহরের ৯৪ হাজার চাকরিজীবীর মধ্যে ৫৩ হাজারই অরক্ষিত ও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। যাদের অনেকেই চাকরি হারাবেন। সর্বাধিক ঝুঁকিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে লুটন ও ডার্বির নাম। এভিয়েশন ছাড়াও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন রেস্টুরেন্ট ও খুচরো শপের চাকরিজীবীরা। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের এবারডিন তেল ও গ্যাস শিল্প প্রধান শহর হিসেবে সেটাও উঠে এসেছে সম্ভাব্য বেশী ক্ষতিগ্রস্ত শহরের তালিকায়। করোনায় কর্মসংস্থানজনিত বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যেসব শহর, সেগুলো হলো- ১. ক্রলি, ২. লুটন, ৩. ডার্বি, ৪. এবারডিন, ৫. ব্ল্যাকপুল, ৬. পিটারব্রো, ৭. প্লেমাউথ, ৮. টেলফোর্ড, ৯ নরউইচ ও ১০. বার্নলি। করোনায় কর্মসংস্থানজনিত মাঝারি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যেসব শহর, সেগুলো হলোÑ ১. অক্সফোর্ড, ২. ওয়ার্থিং, ৩. ব্রাডফোর্ড, ৪. ক্যামব্রিজ, ৫. লেইস্টার, ৬. রিডিং, ৭. সোয়ানসি, ৮. বার্কিংহেড, ৯. প্রিস্টন ও ১০. লীডস।