কাতারের অনুদান নিয়ে দুর্নীতি করেননি প্রিন্স চার্লস

ব্রিটেনে প্রিন্স চার্লসের একটা খবর বেশ সাড়া জাগিয়েছিল৷ কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ৩০ লাখ পাউন্ড নেয়ার সেই খবরের সত্যতা অস্বীকার করেননি চার্লস৷ তবে টাকা নিলেও তিনি দুর্নীতি করেছেন এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি৷কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জসিম প্রিন্স চার্লসের হাতে ৩০ লাখ পাউন্ড (৩১ লাখ ৭০ হাজার ডলার) ভর্তি একটা ব্যাগ তুলে দেন ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে কোনো এক সময়ে৷ব্রিটেনের সানডে টাইমস সময়টা নিশ্চিত করতে না পারলেও লেনদেনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই সম্প্রতি খবরটি প্রকাশ করে৷ ফলে জনমনে ছড়িয়ে পড়ে সন্দেহ- চার্লস কি তবে বিশাল অঙ্কের এই টাকা নিয়ে নয়-ছয় করেছেন? সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে অবশ্য সেরকম কোনো ইঙ্গিত ছিল না৷ বরং সেই প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছিল তা-ই শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷

পত্রিকাটি জানিয়েছিল, অর্থ পাওয়ার পর ৭৩ বছর বয়সি চার্লস তা তার এক দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা করে দেন৷ সেই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও একই কথা বলেছে৷ শেখ হামাদ বিন জসিম প্রিন্স চার্লসের হাতে টাকার ব্যাগটি তুলে দিয়েছিলেন এক ব্যক্তিগত বৈঠকে৷ সে কারণেই কেউ কেউ পুরো বিষয়টিকে গোপন লেনদেন এবং এর মাঝে দুর্নীতি থাকতে পারে বলে ধরে নিলেও দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অনুদান হিসেবে নেয়া টাকা প্রিন্স চার্লস সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ে সেই তহবিলের অডিটও হয়েছে৷গত নভেম্বরে প্রিন্স চার্লসের আরেক দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাইকেল ফসেটের বিরুদ্ধে অনুদানের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে পুরষ্কার এবং ব্রিটেনের নাগরিকত্ব দেন- এমন তথ্য নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সানডে টাইমস৷ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মাইকল ফসেট দায়িত্ব ছেড়ে দেন৷ ব্রিটেনের চ্যারিটি কমিশন এখন ফসেটের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে৷

Advertisement