ব্রিট বাংলা ডেস্ক : কানাডার সংসদ হাউস অফ কমন্স চীনের জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে ঘটা নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাদের এ স্বীকৃতিকে উৎসাহজনক আখ্যা দিয়ে গত রবিবার কানাডীয় সংসদকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ক্যাম্পেইন ফর উইঘুর (সিএফইউ) নামের একটি সংগঠন। সিএফইউ এক বিবৃতিতে বলেছে, কানাডিয়ান সংসদ কর্তৃক গৃহীত এই পদক্ষেপ অন্যান্য সরকারের জন্যও উৎসাহজনক।
কানাডার সংসদে ২৬০-০ ভোটে এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্ক গার্নো ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ শাসকদল লিবারেল পার্টির ৬০ জনেরও বেশি সদস্য ভোটে অংশগ্রহণ করেননি।
উইঘুর বিষয়ে এ ভোটের দাবি তুলেছিলেন কানাডার বিরোধীদল কনজারভেটিভ দলের নেতা এরিন ওটুল। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ভোটে অংশ না নেওয়ায় তার সমালোচনা করেন ওটুল। পাশাপাশি ২০২২ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন অলিম্পিক বয়কটের দাবি পুনরায় উত্থাপন করেছেন এবং উইঘুর নিয়ে সংসদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই বিরোধীদলীয় নেতা। তবে অলিম্পিক বয়কটের দাবির অগ্রহণযোগ্যতা ও ট্রুডোর আগের মন্তব্য বিবেচনায় নিয়ে বলা যায় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ কানাডা নেবে না।
এর আগে গণহত্যা শব্দের ব্যবহার নিয়ে সবাইকে সাবধান করেছিলেন কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, গণহত্যার একটি আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা আছে। শব্দটির ভুল ব্যবহার হলে এর সংজ্ঞা দুর্বল হয়ে পড়বে।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গার্নো বলেছিলেন, কানাডা গণহত্যার অভিযোগকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। তবে এ বিষয়ে ট্রুডোর দাবি- আন্তর্জাতিক তদন্তের কথাই প্রতিধ্বনিত করেছেন তিনি। তবে কানাডায় চীনের রাষ্ট্রদূত কং পেউ চীনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি কানাডাকে উইঘুর বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়।