কানাডার মাটিতে সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশিরা

মোয়াজ্জেম সাজু কানাডা থেকে :: গ্রীষ্মের এই সময়টাতে কানাডার মন্ট্রিয়ালে যাদের বাড়িতে জায়গা রয়েছে তাদের বেশিরভাগ বাড়ির আঙ্গিনায় নানা জাতের সবজি চাষ করে বিদেশের মাটিতে পরিচিত করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা । নিত্যদিনের কাজের ফাঁকে চাষ করা এসব তাজা সবজি দেখতে যেমন সতেজ এবং খেতেও অনেক সুস্বাদু। গ্রিস্মের এই সময়টাতে বাড়ির আঙিনার উৎপাদিত সবজিতে রয়েছে দেশীয় স্বাদে। কোন ধরনের কীটনাশক ছাড়া সবজী চাষ করা যায় এবং সবজি ফ্রিজেও সংরক্ষণ করে সারা বছর খেতে পারেন তারা।
টমেটো, আলু, বেগুন, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ডাঁটা, ঢেঁডশ, বরবটি এসব সব্জির চাষ করা হয়।এবং ফলন ও খুব ভাল হয়।এছাড়া শাকের মধ্যে রয়েছে লাল শাক, পুঁই শাক এবং লাউ শাক। সবজি উৎপাদন যাদের বেশি হয় তারা নিজের চাহিদা মিঠিয়ে অনেকই আবার তাদের স্বজনদের মাঝে বিলিয়ে দেন ।এসব সব্জি চাষ সময় জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বরের মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত করা যায়।
মৌলভীবাজারের শামস উদ্দিন জানান,কানাডার বিভিন্ন গ্রোসারীর সপে বাংলাদের তরিতরকারি পাওয়া গেলেও স্বাদ খুবই কম ।তাই নিজের চাষ করা সব্জিতে স্বাদ বেশি এবং অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায় তাই আমরা কাজকর্মেও পাশাপাশি সব্জি চাষ করি।
বাংলাদেশি বেশিরভাগ সব্জির বিজ পাওয়া যায়। এবং চাষাবাদের উপকরণ পাওয়া যায় এখানকার বাজারে।তাদের কৃষি উপকরণ উন্নত থাকায় সবজী চাষে তেমন পরিশ্রম হয়না।সঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে ফলনও হয় বেশ ভাল।
সিলেট গোলাগঞ্জের নিয়াজ উদ্দিন জানান, আমি ২০০৫ সালে কানাডায় এসে আমার ঘরের পিচনের একটু যায়গাতে আমি প্রথমে দুইটি টমেটুর গাছ লাগিয়ে সব্জির চাষের কাজ শুরু করি। আমরা জুন জুলাই মাসের অনেক্ষায় থাকি সব্জি চাষের এখানকার মাঠিতে বাংলাদেশ মতো অনেক ভাল সব্জি চাষ করা যায়।বর্তমানে নিয়াজ উদ্দিনের বাগানে পনের জাতের সব্জি রয়েছে,এবং প্রতিবছর ফলন ও বেশ ভাল হয় । তিনি জানিয়েছেন এসব সব্জি দোকানে তুললে অনেক সময় কাড়াকাড়ি লেগে যায়।
গ্রীষ্মে এই সময় টাতে বাড়ির সামনে ও পেছনের আঙিনায় বাংলাদেশিরা সবজি চাষ করেন বেশ সুনাম অর্জন করছেন কানাডার মাঠিতে।

Advertisement