কানাডায় বাংলাদেশের ইতিহাস গড়লেন ডলি

ব্রিট বাংলা ডেস্ক ::  কানাডায় প্রথম বাংলাদেশি মেয়ে ডলি বেগম অন্টারিও প্রাদেশিক সংসদের মেম্বার অব প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট (এমপিপি) নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। তার ঐতিহাসিক বিজয়ে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে আনন্দোৎসবের বন্যার জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। রেকর্ড অর্জন করা ডলির বিজয় যেন বাংলাদেশের বিজয়। এ বিজয় যেন প্রতিটি বাঙালির বিজয়।

মৌলভীবাজারের মেয়ে ডলি ১১ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে কানাডায় আসেন। ২০১৫ সালে টরন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন। পরে সিটি অফ টরন্টোতে কর্মরত ছিলেন ১০মাস। গত এপ্রিল পর্যন্ত রিচার্স এনালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন দ্য সোসাইটি অব এনার্জি প্রফেশনালসে।

তিনি এবার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) থেকে অন্টারিও এর স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট আসন থেকে এমপিপির মনোনয়ন পান এবং স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ জুন) প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রাজ্ঞ প্রতিদ্বন্দ্বিদের হারিয়ে তারুণের প্রতীক হিসেবে ১২৩জনের সঙ্গে সংসদের আসনে বসতে যাচ্ছেন।

নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) থেকে নির্বাচিত ডলি বেগম প্রগ্রেসিভ কনসারভেটিভ পার্টির গ্রে এলিসকে ৬ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারান। ডলির প্রাপ্ত ভোট ১৯ হাজার ৭৫১। গ্রে এলিস পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৫২ ভোট, লিবারেল পার্টির লরেঞ্জো বেরারদিনেত্তি (সাবেক এমপিপি) পেয়েছেন ৮ হাজার ২১৫ ভোট।

ডলি ১,৯৭৫১ তথা ৪৫.৫১% ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রগ্রেসিভ কনসারভেটিভ পার্টির গ্রে এলিয়েস ডলির চেয়ে ছয় হাজারের চেয়েও কম ভোট পান- ১৩,৫৫২ তথা ৩১.৩২% আর লিবারেল পার্টির লরেঞ্জো বেরারডিনেত্তি পান ৮,২১৫ অর্থাৎ ১৮.৯৩% এবং গ্রিন পার্টির ডেভিড গ্রান্ডে পান ১১৪৪.২৬% ভোট।

ডলি বলেন, নির্বাচনে আমি অভিভূত হয়েছি মতভেদ ভুলে বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধতা দেখে। এ বিজয় আমার নয়; সকল বাংলাদেশির বিজয়। তাই ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ঐক্যের জয় অনিবার্য। তিনি সকল ভোটাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

Advertisement