ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর চরম মানবাধিকার বিপর্যয়ের পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামিক সহযোগিতা সংগঠন (ওআইসি) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। খবর ইয়েনি শাফাকের।
বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে জম্মু-কাশ্মীরের যোগাযোগ রক্ষাকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে ওআইসি তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে। এ সময় সংগঠনটি মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মীরে তাদের অবস্থান তুরে ধরে।
বিবৃতিতে ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মীরকে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে রুপান্তরিত করায় তাদের (জম্মু-কাশ্মীর) জনসংখ্যা শনাক্ত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
জম্মু-কাশ্মীর বিরোধের বিষয়ে ওআইসির নীতি সমন্বয় করতে ১৯৯৪ সালে জম্মু-কাশ্মীর যোগাযোগ প্রতিনিধি গঠন করা হয়েছিল এর সদস্য হল- তুরস্ক, আজারভাইজান, নিগার, পাকিস্তান এবং সৌদি আরব।
এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস তার অবস্থান পরিষ্কার করেন। তিনি আগস্ট মাসে দেয়া ওআইসির বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
ওআইসির বিবৃতিতে ভারতের কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের রেজ্যুলেশন বাস্তবায়ন করা ভারতের দায়িত্ব বলেও জানানো হয়।
গত আগস্ট মাসের ৫ তারিখে ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। এরপর থেকে ওই এলাকাটি নিয়ে পাক-ভারত উত্তেজনা দেখা দেয়। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ও শুরু করে।