ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় সোয়া এক ঘন্টার ভেতরে ৫টি এসিড হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে আটক ১৬ বছরের কিশোরকে সোমবার স্ট্রাটফোর্ড ইয়ূথ কোর্টে হাজির করা হয়। এসিড হামলাসহ ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদিকে এসিড হামলাকারীদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাতে আহ্বান জানিয়েছেন লন্ডন মেয়র সাদিক খান। অন্যদিকে এসিড হামলা প্রতিরোধে বর্তমান আইন পরিবর্তন করে আরো কঠোর হওয়ার কথা ভাবছে সরকার। প্রয়োজনে হামলাকারীদের যাবজ্জীবন জেলদন্ড নিয়ে আসার আশ্বাসও দিয়েছেন হোম সেক্রেটারী এ্যাম্বার রুড। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কারা এবং কেনো এই হামলা চালাচ্ছে? ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে নাকি ঘৃনাজনিক কারণে এসব হামলা হচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর বের করতে না পারলে খুব সহজে তা থামানো যাবে না বলে মনে করছেন হামলার শিকার ভুক্তভোগিরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে হ্যাকনি রোডের হামলার শিকার জাবেদ হোসাইন মনে করছেন, ঘৃনাজনিত কারণেই এসব হামলা হচ্ছে। না হলে নিরাপরাধ মানুষের মুখ কেনো জ্বলসে দেওয়া হবে বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি। চুরি বা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে মুখে এসিড মারার প্রয়োজন কেনো? প্রশ্ন জাবেদ হোসাইনের।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৫ মিনিট থেকে ১১টা ৩৭ মিনিটের ভেতরে ৫টি এসিড হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে আটক ১৬ বছরের কিশোরকে সোমবার স্ট্রাটফোর্ড ইয়ূথ কোর্টে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে এসিড হামলাসহ ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ইস্ট লন্ডনের হ্যাকনি এলাকায় ৪টি এবং নর্থ লন্ডনের ইজলিংনে এই ৫টি হামলা চালানো হয়। পরদিন শুক্রবার ইস্ট লন্ডনের ডেগেনহ্যামে আরো একটি এসিড হামলার ঘটনা ঘটে। এসিড হামলা প্রতিরোধে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন লন্ডন মেয়র সাদিক খান। এসিড হামলার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড নিয়ে আসার আহ্বানও করেন তিনি।
২০১০ সালের পর থেকে শুধু লন্ডনেই প্রায় ১ হাজার ৮ শ এসিড বা এসিড জাতীয় দ্রব্যের হামলার ঘটনা রেকর্ড করে পুলিশ। আর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে গত নভেম্বর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৪শ এডিস হামলার রিপোর্ট গ্রহণ করে পুলিশসহ দেশের ৩৯টি সংস্থা। ইস্ট লন্ডনে এসিড আতঙ্ক সবচাইতে বেশি নিউহ্যামে। গত ২১শে জুন রাশেম খান এবং জামিল মুক্তারের উপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ের বেশ আলোচিত। এই হামলার দায়ে একজনকে চার্জ করেছে পুলিশ। লন্ডনে আশঙ্কাজনহারে এসিড হামলা বৃদ্ধির বিপরীতে এসিড জাতীয় দ্রব্য দিয়ে কারো উপর হামলা এবং কেনা বেচায় আরো কঠোর আইন নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন হোম সেক্রেটারী। বর্তমান আইন অনুযায়ী একজন এসিড হামলার সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ বছরের সাজা হয়ে থাকে। এই আইনের পরিবর্তন করে সাজার মেয়াদ যাবজ্জীবন দন্ডের বিধান নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন হোম সেক্রেটারী এ্যাম্বার রুড। সোমবার রাতে এসিড হামলা প্রতিরোধে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই এসিড হামলা? এবং কারা এই হামলা চালাচ্ছে? ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে নাকি ঘৃনাজনিক কারণে এসব হামলা হচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর বের করতে না পারলে খুব সহজে তা থামানো যাবে না বলে মনে করছেন হামলার শিকার ভুক্তভোগিরা।